‘খুনিদের বিচার ও সাদপন্থীদের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে’
প্রকাশ:
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:১৪ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ও কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নুরিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষা সচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি স্বঘোষিত বিশ্ব আমীর ভারতের সা'দ কান্ধলভির অন্ধ অনুসারীদের টঙ্গী এস্তেমা মাঠে মূল ধারার তাবলীগের সাথীদের উপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলেছেন, মূলতঃ সকল দ্বীনি কার্যক্রম চলবে হক্কানী উলামায়ে কেরামদের তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায়। কিন্তু সা'দপন্থী সন্ত্রাসীরা সারা বিশ্বের হক্কানী ওলামায়ে কেরামদের মতামতকে উপেক্ষা করে সর্বজন স্বীকৃত নন্দিত দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি বিগত ১৯১৮ সালে টঙ্গীর ময়দানে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আলেম-ওলামা মাদ্রাসার ছাত্র ও তাবলীগের সাথীদেরকে হতাহত করেছিল। আবার গত মঙ্গলবার রাত ৩ টায় তুরাগ তীরে টঙ্গীর ময়দান দখল করতে দেশীয় অস্ত্র সহ হামলা চালিয়ে ৪ জন মুসল্লিদেরকে হত্যা করেছে এবং অসংখ্য লোকজনকে আহত করেছে। তিনি অবিলম্বে নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করার দাবি জানান । তিনি বলেন সাদপন্থীরা সন্ত্রাসী তৎপরতার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। আজ শুক্রবার (২০ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় তৌহিদী জনতার ব্যানারে কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রীজ এলাকায় খুনি সাদ পন্থীদের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশের নিষিদ্ধ করা এবং খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিতে এক বিশাল জনসমাবেশে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ইমাম সমাজ কামরাঙ্গীরচর থানার সভাপতি মুফতি ইলিয়াস মাদারীপুরী, মাওলানা ওমর ফারুক, মুফতি হাবিবুর রহমান, মুফতি আব্দুর রহমান বেতাগী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মুফতি ফয়জুল্লাহ বিন মুখতার, মাওলানা সলিমুল্লাহ খান, মুফতি আবুল হাসান কাসেমী, মুফতি আবদুস সালাম, মুফতি কামাল উদ্দিন, মুফতি হোসাইন আহমদ, মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন প্রমুখ। মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, দেওবন্দ মাদ্রাসাসহ বিশ্বের ওলামায়ে কেরাম সাদপন্থীদের ভ্রান্ত ও কুফরি আক্বিদা গুলো তুলে ধরেছেন। সাদপন্থীরা সংশোধন না করে প্রমাণ করেছে, তারা বাতিল ও পথভ্রষ্ট। ইসলামের দুশমন ইহুদি খ্রিস্টান ও ব্রাহ্মণ্যবাদীদের এজেন্ট হিসেবে সাদপন্থীরা কাজ করছে। অতএব তাবলীগের নামে মানুষের ঈমান হরণ করতে সাদপন্থীদেরকে বাংলার মাটিতে কোন কার্যক্রম করতে দেওয়া হবে না। তিনি অবিলম্বে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের উলামায়ে কেরাম ও তাওহিদী জনতার মতামত অনুযায়ী এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তাবলীগের নামে কোন কার্যক্রম বাংলাদেশে পরিচালনা করার কোন যৌক্তিকতা নেই। মানুষ খুন করার দায়ে এদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবি। সরকার যদি তাদেরকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ না করে তাহলে এদেশের সর্বস্তরের হক্কানী ওলামায়ে কেরাম ও ইমাম সমাজ তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধে যে কোন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। সা'দ পন্থীদেরকে বাংলাদেশের কোন মসজিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। কেন্দ্রীয় মারকাজ কাকরাইল মসজিদ এবং টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে তাদের কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। তখন সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায় নিতে হবে। হাআমা/ |