ভারতীয় চক্রান্তের প্রতিবাদে সাভারে হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশে জনতার ঢল
প্রকাশ:
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:০১ রাত
নিউজ ডেস্ক |
|| আবদুল্লাহ ফিরোজী || দেশকে অস্থিতিশীল করতে ভারতীয় চক্রান্তের প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা বন্ধের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা জেলা উত্তরের অন্তর্গত তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে জনতার ঢল নেমে আসে। বিক্ষোভ সমাবেশে সব ধরনের অন্যায় অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে তৌহিদি জনতা। হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের বিভিন্ন ইউনিট থেকে বাস ট্রাক ও পিকআপ যোগে মিছিল সহকারে ঈমানদীপ্ত জনতা যোগ দেয় জনতা। আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বাদ জুমা হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে এ বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি ও যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হেফাজতের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক ও বারিধারা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, গত ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার জগদ্দল পাথর আমাদের ওপর চেপে বসেছিল। রাষ্ট্রীয় প্রতিটি বিভাগকে ধ্বংস করেছিল। ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনো ভারতে বসে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ফ্যাসিবাদ এবং এই দেশকে অস্থিতিশীল করার পেছনে ভারতীয় আধিপত্যবাদের হাত রয়েছে। ভারত চক্রান্ত করে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। তারা ইসকনকে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। আমরা ভারতীয় হাই কমিশনকে বলতে চাই, বাংলাদেশবিরোধী সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন। আপনারা আপানাদের রাজনীতিবিদ এবং মিডিয়ার মুখে লাগাম লাগান। তিনি আরও বলেন, হেফাজতকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ পুনর্গঠন হবে না। হেফাজত মাটি ও মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে। ইসলাম বিদ্বেষী ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে হেফাজতের কর্মীরা অকাতরে জীবন দিয়েছেন। ছাত্র-জনতার রক্তের উপর এই সরকার দাঁড়িয়ে আছে। ভারতীয় আধিপত্য রুখতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্র মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলংকা ভারতীয় আধিপত্যের জাল ছিন্ন করেছে। সরকারকে অনুরোধ করবো আপনারা বিকল্প বন্ধুরাষ্ট্র খুঁজুন। তিনি বলেন, এক ফ্যাসিবাদ বিদায়ের পর দেশে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়েছে। পূর্বের ন্যায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি শুরু করেছে চিহ্নিত একটি মহল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন। রাজনৈতিক পরিচয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেছে। সংশ্লিষ্টরা এসব খেলা বন্ধ করুন। ক্ষমতায় না আসতেই যেভাবে অন্যায় অবিচার শুরু করেছেন, সাধারণ জনতা মাঠে নামলে ফ্যাসিস্টদের মতো আপনাদেরও দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। থানায় যেন কোন মিথ্যা মামলা না নেওয়া হয়, সে অনুরোধ করেন তিনি। মুফতি মাহমুদ হাসান হাবিবী ও মুফতি মাহমুদুল হাসান মুরতাজার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন সরকার, জামিয়াতু ইব্রাহীম আ. ঝাউচরের মুহতামিম মুফতি জাহিদুল ইসলাম কাসেমী, জামিয়াতুস সুফফাহ আমীন বাজারের মুহতামিম মুফতি আব্দুল বারী, যমযমনূর গ্রুপের এমডি হাফেজ মাওলানা নূর মোহাম্মদ, হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী ও মুফতি মাহফুজ হায়দার কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, কোষাধ্যক্ষ মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব, হেফাজত তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের দায়িত্বশীল মুফতি আব্দুল হাই, মাওলানা আবু সাঈদ, মুফতি ইলিয়াস হোসাইন, মুফতি আব্দুল কুদ্দুস, মুফতি রেদওয়ানুল হক রমজান, মুফতি আতিকুল্লাহ বিন রফিক, মুফতি রফিকুল ইসলাম, মাকতাবাতুল আবরারের এমডি মাওলানা সাইফুল ইসলাম, ভাকুর্তা ইউনিয়নের দায়িত্বশীল মুফতি আরিফুল ইসলাম ও মাওলানা জাকির হোসাইন প্রমুখ। হাআমা/ |