প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মুফতি আব্দুল মালেক ও শায়খ আহমাদুল্লাহ
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:০২ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

|| হাসান আল মাহমুদ ||

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের বৈঠক চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে এ বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে আলেম সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক ও আস্-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ অংশ নিয়েছেন।

আলেম সমাজ হতে আরও উপস্থিত আছেন শায়খ সাজিদুর রহমান, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মুফতি সাখাওয়াত হুসাইন রাজী ও শায়খ আবদুল্লাহ বিন আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।

এছাড়া হিন্দু-বৌদ্ধসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত রয়েছেন।

ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মনে অনেকগুলো প্রশ্ন জেগেছে। সেগুলোর জবাব খুঁজে পাওয়ার জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসা। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরই এই সরকার যখন গঠন হয়, আগস্টের ৮ তারিখ আমি যখন বিমানবন্দরে উপস্থিত হলাম। তখন সবার কাছে আন্তরিকভাবে একটা আহ্বান জানিয়েছিলাম। সেটা কোন রাজনৈতিক বা শ্রোতাপ্রিয় বক্তব্য ছিল না। বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানা মত থাকবে, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু পরিবার একটা আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতেই জোর দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমাদের শত পার্থক্য সত্ত্বেও আমরা কারও শত্রু না। পরস্পরের শত্রু না। আমরা এক জায়গাতে, এক কাতারে ওখানে চলে আসি। যেখানে আমাদের জাতীয়তার প্রশ্ন আছে, পরিচয়ের প্রশ্ন আছে। আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যখন শপথ গ্রহণ করলাম, শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যচার চলছে। এরপরই আমি খোঁজ নিই এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলে যাই। সেখানে আমাকে কিছু দাবি-দাওয়া দেওয়া হলো। তবে একটি দাবি হচ্ছে ‘আমাদের সবার সমান অধিকার। বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার ও কাজকর্মের অধিকার। সেগুলো আসবে সংবিধান থেকে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেগুলো নিশ্চিত করা।’

তিনি বলেন, আমি তাদের আন্তরিকভাবেই বলেছিলাম যে আমরা এটা দেখব নিশ্চিত করার ব্যাপারে। সংবিধান নাগরিককে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেগুলো তার কাছে পৌঁছে দেওয়া ও নিশ্চিত করা আমার কাজ।

তিনি আরও বলেন, তারপরও শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। তো আমি সবার সঙ্গে বসলাম এবং কথা বললাম যে এখান থেকে কী করে তাদের উদ্ধার করতে পারি? তখন পূজার সময় এল। আমি মনে করলাম এই সময়ে হামলা হবে। ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যাতে কোনো রকম হামলা না হয়।

হাআমা/