অন্যায় ভাংচুর যেভাবে অপরাধ, তথ্যসন্ত্রাসও তেমন অপরাধ: বায়তুল মোকাররমের খতিব
প্রকাশ:
২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:০৫ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
|| মুহাম্মাদ লুতফেরাব্বী আফনান || চট্টগ্রামের তাওহীদ বিরোধীদের হাতে তাওহীদের কালেমা পাঠ করার অপরাধে যাকে শহীদ করা হয়েছে, তার প্রতি ফোটা রক্ত অত্যন্ত দামি। আর হত্যাকারী এবং সমর্থনকারীদের রক্ত তার তুলনায় মূল্যহীন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আল্লাহর কাছে আমরা না দিলেও আল্লাহ বিচার করবেন। সরকারেরও উচিত এর যথাযথ বিচার করা। এসব ঘাতক সংগঠন দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, অরাজকতা তৈরি করছে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে, এটা যদি আমরা বুঝতে না পারি তাহলে কিছুই করার নেই। আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বায়তুল মোকাররাম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক জুমার বয়ানে এসব বলেন। তাকওয়ার ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসাবে তিনি বলেন, তাকওয়ার প্রধান অংশ হচ্ছে তাওহীদ। এজন্য সকল নবীগণ তাওহীদ ও শরীয়তের দাওয়াত নিয়ে এসেছেন। সকল নবীগণ এই কথা বলেছেন: فاتقوا الله وأطيعون অর্থাৎ তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং আমার অনুসরণ করো। এজন্য মুমিনের প্রধান কাজ হচ্ছে, তাওহীদের উপর অবিচল থাকা এবং তাওহীদ পরিপন্থী সকল কাজ থেকে বেঁচে থাকা। তাওহীদের উপরে অবিচল ঢাকা এবং এজন্য সর্বস্ব ত্যাগ করার অনন্য উদাহরণ হচ্ছে আসহাবে কাহাফের ঘটনা। আল্লাহ নিজে তাদের ঘটনা কুরআনে বর্ণনা করেছেন। তারা দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করেছেন ربنا رب السموات والأرض আমাদের রব হচ্ছেন আসমান জমিনের রব। আল্লাহ ছাড়া আমরা কাউকে ইলাহ হিসাবে মানিনা। তাওহীদ পরিপন্থী কোন কথা বলা জঘন্য বিষয়। তিনি আরও বলেন, ইসলাম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ শান্তির ধর্ম। এই ধর্মের মধ্যে মানবজাতির ইহ ও পরোকালীন কল্যাণ রয়েছে। আজকে ইহুদি-খৃষ্টানরা সারা পৃথিবীতে সেবার নামে ধর্মপ্রচার করছে, অথচ তাদের কারো কাছেই শান্তির বার্তা নেই। মানুষ বিজ্ঞানের কল্যাণে চাঁদের ভ্রমণ করছে আর হিন্দুরা এখনো গোমাতার পিছনে পড়ে রয়েছে। এগুলো সমালোচনা নয়; আক্ষেপের বিষয়। তাদের ধর্মগ্রন্থসমূহে ইসলামের নবীর আলোচনা রয়েছে। এগুলো গোপন রেখে তারা কখনো মানবতার কল্যাণ করতে পারবে না। কাদিয়ানীরাও ইসলামের নামে তাদের ধর্মপ্রচার করছে। এসব কোন কিছুতেই বাধা আসেনা। আর শান্তির ধর্ম প্রচার করতে গেলে, তাওহীদের দাওয়াত দিতে গেলেই সব বাধা আসে। তিনি বলেন, এসব কাজে অন্যতম সহযোগী হচ্ছে তথ্যসন্ত্রাস সৃষ্টিকারী মিডিয়া, পত্র-পত্রিকা। তারা বছরের পর বছর মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য প্রচারের মাধ্যমে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অন্যায় ভাংচুর বা অঅনুমোদিত ভাংচুর যেভাবে অপরাধ, তথ্যসন্ত্রাসও তেমন অপরাধ। আমরা সকল প্রকার অপরাধের বিরুদ্ধে। সকল নাগরিককে এসব অপরাধের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে হবে। হাআমা/ |