অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ
প্রকাশ:
২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:২৭ রাত
নিউজ ডেস্ক |
গত ২৬ নভেন্বর চট্টগ্রাম আদালতে নির্মম হত্যার শিকার নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের গ্রামের বাড়িতে আজ রাতে নিহতের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানাতে ও কবর জিয়ারতে উপস্থিত হয়েছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের একঝাঁক শীর্ষস্হানীয় নেতৃবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় তাঁরা সাইফুল ইসলামের বাড়িতে পৌঁছে তাঁর স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমাবেদনা প্রকাশ করেন। এরপর নিহত সাইফুল ইসলামের কবর জেয়ারত শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করেন তারা। সেখানে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বাইরেও এলাকাবাসীরা অংশ নেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন ' প্রিয় নবী মোহাম্মদ রাসূল (সা.) এর একটি সুন্নাত হলো বিপদগ্রস্হ আপনজন হারানো বেদনাহত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, এটি সুন্নাতের একটি আমল। আজ আমরা সকলেই শহীদ সাইফুল ইসলামের পরিবারের পাশে শোক ও গভীর সমবেদনা জানাতে ও এই সুন্নতের আমল করতে উপস্থিত হয়েছি। এবং আমরা শহীদ সাইফুল ইসলামের এ আত্মত্যাগের শাহাদাতের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আজ এখান থেকে দেশপ্রেমী মুসলমানদের পক্ষে থেকে বলতে চাই আমাদের সন্তানদেরকে, আমাদের ভাইদেরকে হত্যা করেও হক্বের পক্ষ থেকে আমাদের কখনোই বিচ্যুত করা যাবে না। শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফ মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বলে উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন " তাঁর সর্বশেষ যে আহ্বান ছিল তা জাতির প্রতি অন্যায় ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। যেভাবে তাঁকে দিনের আলোয় আদালত পাড়ায় ইসকনের উগ্রগোষ্ঠী নির্মম সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে হত্যা করেছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।দেশ বিরোধী অন্যায়ের জন্য যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এর বাইরেও যাদের যাদের সূত্রতা থাকবে এখানে প্রত্যেককে ধরতে হবে। তিনি আরও বলেন ' এদেশের বিগত স্বৈরাচারের অপশক্তি এখনও চায় যাতে দেশের সাম্প্রদায়িক হামলা ও যুদ্ধ শুরু হয়। তারা চায় হিন্দু-মুসলমানের বিভেদ সৃষ্টি করে নিরীহ হিন্দুদের ওপর আক্রমন চালাতে। কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধ সহমর্মিতা ও সংযত আচরণ সেসব নসাৎ করেছে। এসময় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা বলেন' ইসকনসহ বিগত স্বৈরাচারী শক্তি হয়ে যারাই আসবে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। তারা দ্রুত ইসকনকে বাংলাদেশের নিষিদ্ধের দাবীও তোলেন। হাআমা/ |