সুনামগঞ্জে বেপরোয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:০৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জে দিনদিন বেড়েই চলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। নিয়ম-নীতির তোয়াক্ষা না করে বেপরোয়া চলাফেরা করার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, অকালে ঝড়ে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। গত ২ দিনে পৃথক ঘটনায় শিশুকন্যাসহ ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ পৃথক স্থান থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ পৃথকভাবে জব্দ করেছে ২টি অটোরিকশা। থানায় করা হয়েছে মামলা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১০টায় জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা-বেহেলী সড়কের রাজাপুর সেতুর সামনে যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই বন্ধুর মধ্যে আশিক নুর (৪০) ছিটকে পাকা রাস্তা পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার সাথে থাকা অপর বন্ধু সোলেমান মিয়া (৩৮) একইভাবে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা জব্দ করেছে, কিন্তু অটোরিকশাচালক ইয়ামিন মিয়া (৩৫) পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে মৃত আশিক নুরের ছোট ভাই রাশিদ মিয়া বাদী হয়ে অটোরিকশা চালক ইয়ামিনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

অপরদিকে ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাহিরপুর উপজেলার সোলেমানপুর-তাহিরপুর সড়কের ভাটি তাহিরপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার নিচে পৃষ্ট হয়ে ফারহা আক্তার (৬) নামে এক শিশু গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ পাঠান। রাত ৮টার দিকে সুনামগঞ্জ যাওয়ার সময় পথে আহত ফারহা আক্তারের মৃত্যু হয়। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর অটোরিকশা আটক করে এলাকাবাসী। আর চালাক অনিক মিয়া (২২) পালিয়ে যায়।

জগন্নাথপুর থানার ওসি মোখলেছুর রহমান, তাহিরপুর থানার ওসি দিলোয়ার হোসেন ও জামালগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসাইন পৃথক ঘটনায় শিশুকন্যাসহ ৪ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন।