নকীব পদক ও একটি সমীক্ষা
প্রকাশ:
১৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
আইমান খালিদ নকীব! শিশু-কিশোর ম্যাগাজিন। ২০০৪ সাল থেকে ধারাবাহিক প্রকাশিত একটি পত্রিকা। শুরু থেকেই পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে। সারাদেশে বিশাল এক পাঠক সমাজ তৈরি করেছে। তরুণরা যখন নেট দুনিয়ায় আসক্ত, তখনও নকীব তার পাঠকদের ধরে রেখেছে। দেশ সেরা লেখকদের ছড়া-কবিতা, গল্প, ভ্রমণ, ফিচার, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, জানা-অজানা, রহস্য, রম্যগল্প, কৌতুকসহ নানান আয়োজন থাকে নকীবের পাতাজুড়ে। শিশু থেকে তরুণ বা যুবকদের জন্য যা সুখপাঠ্য হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে নকীব নিয়মিত সাহিত্য সভা, কর্মশালার আয়োজন করে আসছে। এসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে ওঠে আসছে অসংখ্য তরুণ লেখক। নকীবের হাতধরে এখন অনেকেই প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত লেখক। সারাদেশের তৃণমুলে ছড়িয়ে থাকা মেধাবীদের নিয়ে কাজ করা সহজ কথা নয়। কিন্তু জাতীয় শিশু-কিশোর পত্রিকা মাসিক নকীব দীর্ঘ ২১ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে সত্য-সুন্দর, সাহিত্য-সংস্কৃতির সৌন্দর্য সবার সামনে তুলে ধরতে। তরুণদের ভুল পথে নয়-আলোর পথে রাখতে। নকীব তরুণদের উৎসাহিত করতে প্রতিবছর আয়োজন করে সাহিত্য প্রতিযোগিতা। ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কারও দিচ্ছে। নকীবের নির্বাহী সম্পাদক জিয়াউল আশরাফ বলেন, নকীব শক্তিমান কিছু লেখক তৈরি করতে চায়। যারা বাংলাভাষায় শিশু সাহিত্যের নেতৃত্ব দেবে। শিশুদের পরিচর্যা ছাড়া আদর্শ জাতি গঠন সম্ভব নয়। সাহিত্য সংস্কৃতিতে নিজস্বতা না থাকলে দেশের সীমানাও রক্ষিত হয় না। তাই আমাদের শিশুরা যেন ইসলাম-দেশ, দেশের স্বাধীনতার অর্থ বুঝে, তাদের মাঝে যেন দেশপ্রেম থাকে এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে নকীব। জাতীয় শিশু-কিশোর পত্রিকা মাসিক নকীব-২০২১ সাল থেকে নকীব পদক প্রবর্তন করে। গুণী লেখকদের এ পদক দিয়ে আসছে। ২০২১ নকীব পদক পান- বরেণ্য শিশু সাহিত্যিক, তরুণদের রাহবার মরহুম কবি মহিউদ্দিন আকবর, জনপ্রিয় লেখক, আলেম মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক গল্পকার এনায়েত রসুল। করোনার কারণে একবছর অনুষ্ঠান না হলেও ২০২৩ আবারও পদক দেয়ার ধারা চালু হয়। দুই হাজার ২৩ সালে মরণত্তোর পদকপ্রাপ্ত হন বাংলাদেশের ইসলামি সাহিত্যের জাগরণ সৃষ্টিকারী লেখক, সীরাত গবেষক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ.। সময়ের শ্রেষ্ঠ শিশু সাহিত্যিক, অনুবাদক ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী, বিশিষ্ট লেখক গল্পকার আহমেদ রিয়াজ। ২০২৪-এ পদকে নির্বাচিতদের নাম এখনও জানা যায়নি। তবে ২০ নভেম্বর-২০২৪, বুধবার সেই আয়োজনটি হতে যাচ্ছে। শিশু সাহিত্যিক জিয়াউল আশরাফ বলেন, আমরা বড়দের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের মূল্যবান পরামর্শ নিয়েছি। তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা মোতাবেক আলোচনা-পর্যালোচনা করে অনুষ্ঠানের আগেই আমরা একটি সিদ্ধান্ত নেব ইনশাআল্লাহ। নকীব নির্বাহী সম্পাদক আরও বলেন, নকীব পদক একটি সম্মানজনক পদক। এখানে লেখালেখি ও সাহিত্য সংগঠনের মাধ্যমে সমাজ গঠন, আমাদের শিশুদের পরিচর্যা, তরুণদের উৎসাহ প্রদান করেন এমন অনেক বিষয় সামনে নিয়ে আমরা কাজ করার ইচ্ছে। সাহিত্যের মাধ্যমে যারা তরুণ সমাজ, সমাজ এবং দেশ নিয়ে কাজ করেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। নকীবের এই পদক প্রদানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে ইনশাআল্লাহ। সামনে বড় পরিসরে আরও সুন্দরভাবে কাজ করার ইচ্ছা আছে। জিয়াউল আশরাফ বলেন, নকীবের এই সব আয়োজনে দেশের সব লেখক, গুণীজনের সহযোগিতা ও পরামর্শ চাই। |