জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগরের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:৫৩ রাত
নিউজ ডেস্ক

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগর শাখার উদ্যোগে গত ১৬ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে ‘ইনসাফ ভিত্তিক আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবদান শীর্ষক সীরাত সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মুফতী সৈয়দ রিয়াজ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির আলোচনা পেশ করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শুয়াইব আহমদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম ইউকের সভাপতি শাইখুল হাদিস মুফতি আব্দুর রহমান মনোহরপূরী, ইউকে জমিয়তের সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা মুফতি আবদুল মুনতাকিম, খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য সাউথ শাখার সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সহ সভাপতি মাওলানা ফয়েজ আহমদ, ইউকে জমিয়তের সহ সভাপতি মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ, হাফিজ হোসাইন আহমদ বিশ্বনাথী, মহা-সচিব মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ।

প্রোগ্রামের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন আন্তর্জাতিক ক্বারী শায়খ আহমদ হাসান।

সীরাত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউকে জমিয়তের উপদেষ্টা আলহাজ্ব খালিছ মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মঈন উদ্দীন, লন্ডন মহানগর জমিয়তের সহ সভাপতি হাফিজ মাওলানা মুশতাক, সহ সভাপতি হাফিজ জিয়া উদ্দীন, সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ আহমদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শামছুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক হাফিজ মাওলানা আব্দুল হাই, সহ প্রচার সম্পাদক হুসাইন আহমদ, মাওলানা রাশেদ আহমদ, মাওলানা আব্দুল করিম, হাফিজ মাওলানা মাহফুজ আহমদ, হাফিজ মাওলানা সৈয়দ মুমিন আহমদ, মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন, মাওলানা উবায়দুর রহমান,ইমরান মিয়া, হাজী লাক মিয়া, হাজী আব্দুল হান্নান, যাকারিয়া আহমদ প্রমুখ

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগরের সীরাত সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মহানবী (সা.) সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য  শান্তির দূত হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। তাই ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে হলে মহানবী (সা.)এর রাষ্ট্র পরিচালনা পদ্ধতিকে সর্বক্ষেত্রে অনুসরণ করতে হবে। রাষ্ট্রের প্রধান থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বশীলদেরকেও মহানবী (সা.)এর আদর্শ ও তাঁর প্রবর্তিত মদীনা সনদকে মডেল বানিয়ে শাসনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।

মহানবী (সা.)এর রাষ্ট্র পরিচালনার এক পর্যায়ে একজন নারীর চুরির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর শাস্তি কার্যকর করার আগে তার শাস্তি মওকুফ করার সুপারিশ আসলে উক্ত সুপারিশের জবাবে মহানবী (সা.) বলেছিলেন, আমার কন্যা ফতেমাও যদি চুরি করত, তাহলে আমি অবশ্যই চুরির শাস্তি হিসেবে তার হাত কর্তন করার আদেশ দিতাম। ইনসাফ ভিত্তিক একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে মহানবী (সা.) পৃথিবীর মানুষকে যে পথ দেখিয়ে গেছেন, একমাত্র সে পথই পারে মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে। এর বিপরীতে অন্যকোন পথে সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে একটি আদর্শ রাষ্ট্র বিনির্মাণ কখনোই সম্ভব নয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন উৎখাতের পর এখন দেশের সর্বস্তরে বৈষম্য দূর করে ইনসাফ ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার আওয়াজ জোরদার হয়েছে। শান্তি, সহনশীলতা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার কথা বলা হচ্ছে। জাতীয় স্তরে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সুন্নাহর পরিপূর্ণ ও যথাযথ অনুশীলন চালু করতে পারলে খুব সহজেই শান্তি, সম্প্রীতি, বৈষম্যমুক্ত ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ সহজতর হবে।

হাআমা/