ইসলামবাগ মাদরাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুল গনী আল গাজীর ইন্তেকাল
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৭:২০ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

|| হাসান আল মাহমুদ ||

রাজধানী ঢাকার ইসলামবাগ মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর প্রথম দিকের খলিফা আল্লামা মুফতী আব্দুল গনী আল গাজী (গাজী সাহেব হুজুর) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) মাগরিবের আগ মুহূর্তে ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত রোগে ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল আশি বছর।

ফেনীর ছাগলনাইয়া চাঁদগাজী ভূইয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে আগামীকাল (শনিবার) বিকাল ৪ টায় মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ার ইসলামকে এ বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করেছেন মরহুমের ছেলে শেখ মুফতি জুবায়ের গণী

তিনি জানান, আমার আব্বাজান গতকাল মাদরাসা (মরহুমের খেদমতস্থল ঢাকার ইসলামবাগ মাদরাসা) বন্ধ হবার পরে বাড়ি চলে এসেছিলেন। এর আগে তিনি মাদরাসাতেই ছিলেন।   

এসময় তিনি তার বাবার রুহের মাগফেরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মুফতি আবদুল গনী শাইখুল ইসলাম শাহ আহমদ শফি রহ. এর বিশিষ্ট খলিফা ছিলেন। হাটহাজারী থেকে শিক্ষা সমাপন করে তিনি দীর্ঘ দিন বহির্বিশ্বে খেদমতে ছিলেন। পাকিস্তান ও আরব কান্ট্রিতে তিনি তালিম, দাওয়াহ ও মসজিদের দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশে ফিরে মাদরাসায়  তাদরিসের সঙ্গে আবার যুক্ত হন।  ছাত্র ও মাদরাসা গঠনের জন্য তিনি সদা আন্তরিক ছিলেন।  বিদেশ থাকাকালীন তিনি তার শায়খ শাহ আহমদ শফি রহ এর সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে ইসলাহি তায়াল্লুক রাখতেন। আমল ও আখলাকে স্বচ্ছ থাকার চেষ্টা করতেন। নরম তবিয়তের মানুষ ছিলেন তিনি।

তাঁর ছাত্র মুফতি দীদার শফিক জানান, ২০১৩ সালে জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগে প্রথম ইফতা বিভাগ চালু হয়। সে বর্ষে আমি ছিলাম ইফতা পড়ুয়াদের একজন। মুফতি আবদুল গনী রহ. আমাদের উসুলুল ইফতা, ফাতওয়া নাবিসি কে রাহনুমায়ে উসুল ও শরহু উকূদি রসমিল মুফতি এ কিতাবগুলো পড়িয়েছেন। এ সূত্রে তিনি আমার সরাসরি উস্তাদ।  ২০১৪ সালে যখন ইসলামবাগ মাদরাসায় মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী হাফিযাহুল্লাহ র নিয়োগে আমি ইসলাম বাগের শিক্ষক হই। তখন হুজুর আমাকে আরবি ভাষা ও আদবের কিতাবগুলো পড়ানোর জন্য তারগিব দিলেন এবং আমার তাকসিমে  অধিকাংশ আদবের কিতাব রাখলেন মুহতামিম সাহেবের পরামর্শের ভিত্তিতে।

এসো আরবি শিখি ও মুয়াল্লিমুল ইনশা  কিতাবটি পড়ানোর পর হুজুর খুব খুশি হয়েছিলেন।  মাঝেমধ্যে ডেকে নিয়ে বলতেন,  নেসাব শেষ করা জরুরি না তোমার জন্য এই দুই কিতাবে, তুমি ছাত্র গড়ার জন্য তামরিনে জোর দিবে। আদবের হাইছিয়্যতে পড়াবে। '

হাআমা/