দিনদুপুরে গৃহবধূকে হত্যা, লাশ মিলল ডিপফ্রিজে
প্রকাশ:
১১ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:৩৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় একদল ডাকাত দিনে-দুপুরে এক বাড়িতে ঢুকে উম্মে সালমা (৫০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর তার লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে। রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ নামে একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত উম্মে সালমা (৫০) দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ আজিজার রহমানের স্ত্রী। আজিজার রহমান দুপচাঁচিয়া উপজেলা মসজিদের খতিব এবং ইমাম-মুয়াজ্জিন সমিতির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। দুপচাঁচিয়ার হাটসাজাপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঈন খান জানান, মাদ্রাসা শিক্ষক আজিজার রহমানের ৩ সন্তান। বড় ছেলে এবং মেয়ে ঢাকায় থাকেন। ছোট ছেলে ২৪ বছর বয়সী সাদ বিন আজিজার রহমানই শুধু বাবা-মার সঙ্গে দুপচাঁচিয়ায় বসবাস করেন। সাদ ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার কামিল শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম ফারুক জানান, মাদরাসাশিক্ষক আজিজার রহমান এবং ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজার প্রতিদিনকার মত রবিবার সকাল ৯টার মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আজিজার রহমান সাংবাদিকদের জানান, মাদ্রাসায় পৌঁছার পর সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজার জানান, তিনি দুপুর ২টার পর বাড়িতে গিয়ে প্রধান ফটক তালাবদ্ধ দেখেন। পরে বিকল্প চাবি দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকার পর ঘরের সবকিছু এলোমেলো দেখতে পান। ডিপ ফ্রিজের দিকে তাকিয়ে সেটিকে ভালোভাবে লাগানো হয়নি বলে মনে হয়। সেটি খোলার পর তার ভেতরে মায়ের হাত বাঁধা লাশ দেখতে পান। নিহত উম্মে সালমার ম্বামী আজিজার রহমানের ধারণা, সকাল ১০টার পর থেকে দুপুর ১টার মধ্যেই ওই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। স্টিলের আলমারি কুড়াল দিয়ে কাটার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সেটা পারেনি। তাই এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে টাকা-পয়সা বা স্বর্ণালংকার নিতে পারেনি। পুলিশের দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ জানান, ডিপ ফ্রিজের মধ্যে উম্মে সালমার লাশ হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। তবে গলায় কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য আমরা লাশটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। |