গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতের
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:৫২ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে গণহত্যার দায়ে স্বৈরচার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান হেফাজতের আমির মাও. মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর কথিত পদত্যাগপত্রের প্রাপ্তি আগে রাষ্ট্রীয় ভাষণে দেশবাসীর সামনে স্বীকার করলেও সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অস্বীকার করে তিনি স্ববিরোধিতা এবং একইসাথে শপথ ভঙ্গ করেছেন। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিশ্বস্ত এই রাষ্ট্রপতিকে জুলাই বিপ্লবের শত্রু মনে করি এবং তার দ্রুত অপসারণ দাবি করছি। জুলাই বিপ্লবের চেতনার সাথে যারাই গাদ্দারি করবে, তারাই গণশত্রু হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্টদের বানানো জাতীয় দিবস ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিল করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

তারা আরো বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জনক মুজিব ভিন্নমত দমনে  চারটি পত্রিকা বাদে আর সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করেন। তার ফ্যাসিবাদী রাজত্বকে আরো নিরঙ্কুশ করতে তিনি সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল গঠন করেন। এভাবে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্নের ঘাতকে পরিণত হন ফ্যাসিস্ট মুজিব।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পিলখানা ও শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে গত জুলাই-আগস্টেও একের পর এক গণহত্যা চালান। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তিনি অবশেষে ভারতে পালিয়ে যান। বিডিআর হত্যা, ৫ মে শাপলা ও ২০২১ এবং ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গসংঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোরাল আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের এখনো নিষিদ্ধ না করায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদ একের পর এক প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাচ্ছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে আরো সংহত করে সফল করতে হলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই। 

এনএ/