মন্দির-শ্মশানের জমি দখল করে এমপির বিলাসবহুল বাংলো বাড়ি
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:৩১ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার কাঁসাদহ গ্রামের মন্দির, শ্মশান ঘাট এবং কয়েকটি গ্রামের জন সাধারণেল চলাচলের রাস্তার জমি জবর-দখল করে অত্যাধুনিক বাংলো বাড়ি তথা আমোদ-ফূর্তির ভবন নির্মাণ করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বরিশাল-৪ আসনের সদ্য বিলুপ্ত সংসদ সদস্য পঙ্কজ কুমার দেবনাথের একান্ত সচিব বা স্বপন কুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে।

এলকাবাসী জানান, বাড়িটি যদিও স্বপন দেবনাথের নামে প্রচারিত, মুলত বাড়িটির মুল মালিক সাবেক এমপি পঙ্কজ দেবনাথ। শ্মশান ঘাটের পাশে থাকা ৬ গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা অচর্নাকারীদের একটি কালী মন্দির ও কাসাদহ গোয়ালখালী গ্রামের জন চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও দখল করে নেয়া হয়েছে এই প্রমোদ ভবন তৈরির জন্য। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দখলকারীরা বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রভাবশালী নেতা হওয়ার তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না কেউ। বিগত কয়েক বছর আগে স্বপন কুমার দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি উত্তর কাশাদহ, দক্ষিণ কাঁসাদহসহ গোয়ালখালী, রিশাদী ও নবগ্রাম এলাকার লোকজনের রাস্তার কিছু অংশ, স্থানীয় কালী মন্দির, শ্মশান ঘাট ও পূজারীরা যে শত বছরের বটগাছের নিচে আশ্রয় নিতো তা দখল করে একটি অত্যাধুনিক বাংলো বাড়ি তথা প্রমোদ ভবন নির্মাণ করেন বরিশালের সাবেক এমপি পঙ্কজ কুমার দেবনাথ।

স্থানীয়রা জানান, ক্ষমতার দাপটে ধরাকে স্বরা মনে করতেন পঙ্কজ দেবনাথের সহযোগী স্বপন কুমার দেবনাথ ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। তারা বাংলো বাড়ি করার পাশাপাশি গ্রামের শতাধিক বিঘা জমি জোরপূর্বক লিখে নিয়েছেন এমন অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে। তাদের এসব কর্মকান্ডের স্থানীয় একমাত্র সহযোগী প্রদীপ কুমার দেবনাথ বাংলো বাড়ি দেখা শোনার কাজে নিয়োজিত থাকার সময়ে নানাবিধ অপকর্মের সাথে তারাও জড়িয়ে পড়ে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে মদ ও সুন্দরী নারী নিয়ে ফুর্তিতে মেতে উঠতেন তারা এমন অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। তাদের এই আয়োজনে পঙ্কজ কুমার দেবনাথও আসতেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছেন, বিষয়টির যথাযথ তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব ব্যাপারে বরিশাল-৪ আসনের এমপি পঙ্কজ দেবনাথের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে মুটোফোনে পাওয়া যায়নি। মুটোফোনে স্বপন কুমার দেবনাথ এসব বিষয়ে বলেন, আমি কোন মন্দির ও শ্মশানের জমি দখল করি নাই। জমিগুলো আমি কিনেছি।কিন্তু কত শতাংশ কিনেছে সেটা মাপা নেই বলে তা বলতে পারছি না। একই বিষয়ে শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, আমি এসব একাধিক বার

উপজেলা আইন-শৃংখলা মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু ঐ সময়ের প্রেক্ষাপটে কে কোন প্রদক্ষেপ নিতে পারেনি। এখন স্বাভাবিক অবস্থায় বিষয়টি মিমাংসা হওয়া প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন।

এনএ/