কে এই হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ?
প্রকাশ:
১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৫২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়া নিহত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এর আগে ইরানের রাজধানী তেহরানে গত ৩১ জুলাই হানিয়া নিহত হওয়ার পর ৬ আগস্ট ৬১ বছর বয়সী ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নতুন নেতা হিসেবে বেছে নেওয়ার কথা জানায় হামাস। তাকে তার পূর্বসূরি ইসমাইল হানিয়ার চেয়ে বেশি বিচক্ষণ মনে করা হয়েছিল। ইয়াহিয়া সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজায় হামাসের নেতা হিসেবে পরিচিত। সিনওয়ারকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওই হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। ২৫০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে গাজায় নিয়ে জিম্মি করা হয়। তবে ৭ অক্টোবর থেকে সিনওয়ারকে আর দেখা যায়নি। ৭ অক্টোবরের হামলার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যে কজন হামাস নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়েছিলেন, সিনওয়ার তাদের একজন। গাজায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষা প্রধান ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছিল। ১৯৬২ সালে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন সিনওয়ার। তার পরিবার উপকূলীয় শহর আশকেলন অঞ্চল থেকে খান ইউনিসে গিয়েছিল। খান ইউনিস বর্তমানে ইসরায়েলের অধিকৃত একটি অংশ। ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে ইসরায়েলি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম ফিলিস্তিনি বিদ্রোহ ইন্তিফাদার সময় হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড প্রতিষ্ঠায় সিনওয়ার অবদান রেখেছিলেন। প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চান- হামাসের এমন সদস্যদের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। পরে দুই ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যার দায়ে সিনওয়ারসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সিনওয়ার মোট ২৩ বছর ইসরায়েলি কারাগারে কাটান। কারাগারে থাকাকালীন তিনি হিব্রু ভাষাও আয়ত্ত করেন। বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ২০১১ সালে ইসরায়েল তাকে মুক্তি দেয়। এনএ/ |