ঝুঁকিতে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের ডান হাত
প্রকাশ:
১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
গাইবান্ধা প্রতিনিধি গাইবান্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে ৪ আগস্টের সহিংসতায় দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী আহত হন। এ সময় তিনজন সাংবাদিকও গুলিবিদ্ধ হন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের ছররা গুলিতে গুরুতর আহত হন সাংবাদিক জাভেদ হোসেন। তার শরীরে ১৬টি গুলি লাগে। বিশেষ করে তার ডান হাত এখনো মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জাভেদ তার চিকিৎসার পরিস্থিতি এবং বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, উন্নত চিকিৎসা না হলে তার ডান হাত পঙ্গু হতে পারে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আহত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কয়েকজন বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী ছাড়া কেউ আমার খোঁজ নেয়নি। জাভেদের শরীরে এখনো ছররা গুলির দাগ রয়েছে। দীর্ঘদিন রংপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফিরেছেন। হাঁটাচলা করতে পারলেও তার ডান হাতের বেশিরভাগ অংশ অকেজো হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তার ডান হাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক, যা ভবিষ্যতে তার সাংবাদিকতার ক্যারিয়ারে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতারাও তার চিকিৎসায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন। জাভেদ জানান, গত ৪ আগস্ট গাইবান্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় তিনি আন্দোলনকারীদের বক্তব্য নিতে ব্যস্ত ছিলেন, তখন হঠাৎ পুলিশের দিক থেকে ছররা গুলি এসে তার ডান হাত, বুকে এবং পায়ে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় এসকেএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার হাতের অপারেশন করা হয়। হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক জানান, তার মোট ১৬টি গুলি লেগেছে, যার মধ্যে একটি গুলি এমন স্থানে লেগেছে যেখানে স্নায়ুর গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তার হাতের শক্তি পুনরুদ্ধারে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি খালেদ হোসেন বলেন, জাভেদ শুধু একজন দক্ষ সাংবাদিকই নয়, তিনি একজন সাহসী মানুষ। তার অবস্থা দেখে আমরা খুবই মর্মাহত, কিন্তু আমরা আশা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হন, যাদের মধ্যে সাংবাদিকও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেক মিডিয়া কর্মী, যারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। |