‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে’
প্রকাশ:
০৩ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:২৮ রাত
নিউজ ডেস্ক |
আবদুল্লাহ ফিরোজী, সাভার প্রতিনিধি: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেছেন, গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পারলাম, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ডিসিসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। পরিস্কার ঘোষণা করছি এই দেশে ফ্যাসিবাদকে আর ফিরতে দেওয়া হবে না। এসব কর্মকাণ্ডে দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বিগত পনেরো বছরে গুম খুন ও ব্যাংক ডাকাতির সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে শাপলার গনহত্যার বিচার করতে হবে। আলেমদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও পরিচিতি সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সাভারের মামুন পার্টি প্যালেসে আয়োজিত জনাকীর্ণ এই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজী সা. কে নিয়ে কটুক্তি করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আর সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে উগ্রবাদী বিজেপির সংসদ সদস্য নিতেশ নারায়ণ রানে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মহানবীর অবমাননাকারীদের গ্রেফতার করে সঠিক বিচার না করলে ভারতকে চরম মূল্য দিতে হবে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, সাইকোপ্যাথ কিলার হাসিনাকে সাঙ্গপাঙ্গ সহ আশ্রয় দিয়ে ভারত প্রমাণ করেছে, তারা এদেশের জনগণের প্রকাশ্য শত্রু। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলে ভারতকে কঠোর জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আহত নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও প্রশাসনে ঘাঁপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে। তিনি আলেমদের সমন্বয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন ও পাঠ্যপুস্তক সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি বাতিল ইস্যুতে টিআইবির বিবৃতি পড়ে মনে হয়েছে, তারা ইসলামি জনমতকে বাদ দিয়েই তথাকথিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চান। তাদের বক্তব্যে উগ্র সেক্যুলার ও ফ্যাসিবাদ কায়েমের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি টিআইবির বিবৃতির কঠোর প্রতিবাদ জানান। হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীনের মুহতামিম শায়খুল হাদীস মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী, রাজাসন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী, ব্যাংক কলোনি মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, বলিয়ারপুর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, যাদুরচর মাদরাসার শায়খুল হাদীস মুফতি সাঈদ আহমাদ লাকসামী, জামিয়াতু ইব্রাহীম ঝাউচরের মুহতামিম মুফতি জাহিদুল ইসলাম কাসেমী, জামিয়াতুস সুফফাহ আমীন বাজারের মুহতামিম মুফতি আব্দুল বারী, যমযমনূর গ্রুপের এমডি হাফেজ মাওলানা নূর মোহাম্মদ, জায়গীর দরবারের পীর মাওলানা দ্বীন মুহাম্মাদ, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মুফতি আফসার মাহমুদ, ইমাম পরিষদ ধামরাইয়ের সভাপতি মাওলানা আশরাফ আলী, হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা মাহফুজুর রহমান, সহসভাপতি মাওলানা শাহেদ জহিরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফারুক হোসাইন, মুফতি মাহফুজ হায়দার কাসেমী, মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী, কোষাধ্যক্ষ মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব, চারাবাগ মাদরাসা আশুলিয়ার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন প্রমুখ। সহসভাপতি মুফতি রফিকুল ইসলাম সর্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, খাত্রাপাড়া মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ হাবিবুর রহমান, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি মুফতি মুঈনুদ্দীন আহমাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাভার থানার সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ, বলিয়ারপুর মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আব্দুর রশিদ, বাটাগেট মহিলা মাদরাসা ধামরাইয়ের মুহতামিম মুফতি আবুল হোসাইন, নূরে মদীনা মাদরাসার শায়খুল হাদীস মুফতি শামসুদ্দীন কাসেমী, তেঁতুলঝোড়ার মুফতি আব্দুল হাই, বাগ্নীবাড়ী মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মহিউদ্দিন, মাওলানা খন্দকার কাওসার হোসাইন, মুফতি আলী আকরাম, মাওলানা বজলুর রহমান বাদশাহ, যমযমনূর গ্রুপের মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মুফতি সুলতান মাহমুদ, মুফতি মাহবুবুর রহমান গুলজার, মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী মুফতি ফেরদাউস মাহমুদ, মুফতি গাজী সিদ্দীকুর রহমান, মুফতি মামুনুল হক গনিপুরী, মাওলানা আরিফ হোসাইন সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনুরোধে শায়খুল হাদীস মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী হেফাজতের ব্যানারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে হয়ে ইসলাম বিরোধী যে কোন কার্যক্রম রুখে দিতে সবার প্রতি আহবান জানান। দোয়া ও দুপুরের আপ্যায়নের মাধ্যমে প্রোগ্রাম শেষ হয়। হাআমা/ |