মহানবীকে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান
প্রকাশ:
০২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:৩০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সা.-এর শানে বেয়াদবি এবং বিজেপি সংসদ সদস্য নারায়ণ রানে তাকে সমর্থন করার প্রতিবাদ করেছেন বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের নেতারা। বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি মাওলানা কবিরুল ইসলাম। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সা.-এর শানে গোস্তাখি এবং বিজেপি সংসদ সদস্য নারায়ণ রানে তাকে সমর্থন করে বিশ্বের সকল মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি বা অবমাননাকর বক্তব্য ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং আপত্তিকর। এই ধরনের মন্তব্য পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত থেকে প্রচারিত হওয়ায় তা গোটা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। এ ধরনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে হবে। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, কেবল বাংলাদেশ নয় বরং বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকেও ভারতের এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংস্থা, রাষ্ট্র ও সংগঠন ভারত সরকারের কাছে এ বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এমন কাজের ফলে ধর্মীয় সহাবস্থান এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মহানবী (সা.)-কে নিয়ে এই ধরনের কটূক্তিকারীর শাস্তি নিশ্চিত করা এবং একইসঙ্গে ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে। আমরা আপামর মুসলিম জনসাধারণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে বিরানব্বই ভাগ মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস। তা সত্ত্বেও সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও আন্তরিকতাপূর্ণ সহাবস্থান রয়েছে সকল ধর্মের নাগরিকদের। কিন্ত আমাদের পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা অসংলগ্ন মন্তব্য করে ইতিপূর্বে অপতৎপরতা চালিয়েছে। এমনকি প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, কোরআন, সুন্নাহ ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর ও অসতর্ক মন্তব্য করার জঘন্য উদাহরণও রয়েছে। বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ- এর সভাপতি আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন ইতিপূর্বে উল্লিখিত বিষয়ে অপরাধীকে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে ‘ধর্ম অবমাননারোধ ও মহানবী সা.-এর মর্যাদা সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন ও পাসের দাবি করে আসছেন। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের মুসলিম জনসাধারণ ও সকল ধর্মপ্রাণ নাগরিকের প্রাণের এই দাবি রক্ষার্থে আপনার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দেশকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অস্থিতিশীলতা নির্মূলে সহযোগিতা করবে এবং যুগ যুগ ধরে আপনার এই কৃতিত্ব ইতিহাসের সোনালী অধ্যায় হয়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ। মুফতি মাকসূদুল হক ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান খানের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন মাওলানা আব্দুচ্ছালাম, মাওলানা হাসমতুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা নিজামুদ্দিন, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা ইব্রাহীম, মাওলানা হায়াত আলী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা কারামাত আলীসহ প্রমুখ। হাআমা/ |