ঋণ পরিশোধে যে দোয়া করতেন সাহাবায়ে কেরাম
প্রকাশ:
০১ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৪৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
অভাব ও অস্থিরতা সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নেই। তবে অভাবী মানুষের সংখ্যা কম থাকলেও মানুষের মাঝে নানা ধরনের অস্থিরতা কাজ করে। সেই সঙ্গে মানুষ নানা কারণে, জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনে একে অন্যের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে। সুতরাং এ বিষয়গুলো একটি অপরটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের বিশাল ভান্ডার থেকে অভাব, অস্থিরতা ও ঋণ পরিশোধের দোয়া উল্লেখ করা হলো। অভাব থেকে বাঁচার দোয়া উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াততুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া, পবিত্রতা ও সচ্ছলতা কামনা করছি। উপকার : হজরত আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন হজরত রাসুলুল্লাহ সা. এ দোয়া পাঠ করতেন। -সহিহ মুসলিম : ৭০৭৯ অস্থিরতায় পাঠ করার দোয়া উচ্চারণ : ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিস। অর্থ : হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী, আপনার রহমতের অসিলায় আমি সাহায্য কামনা করছি। আমল : হজরত আনাস বিন মালেক রা. থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সা.-এর সামনে কোনো কঠিন কাজ উপস্থিত হলে তিনি এই দোয়া পড়তেন। -তিরমিজি : ৩৫২৪ ঋণ পরিশোধের দোয়া উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিক, ওয়াআগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক। অর্থ : হে আল্লাহ, তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম থেকে বিরত রাখো বা দূরে রাখো এবং তোমার দয়ায় তুমি ছাড়া অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে আমাকে আত্মনির্ভরশীল করো। উপকার : হজরত আলী রা. বলেন, একজন চুক্তিবদ্ধ গোলাম তার কাছে এসে বলে, আমার চুক্তির অর্থ পরিশোধ করতে আমি অপারগ হয়ে পড়েছি। আমাকে আপনি সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, আমি তোমাকে কি এমন একটি বাক্য শিখিয়ে দেব না, যা আমাকে হজরত রাসুলুল্লাহ সা. শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার ওপর সীর (সাবির) পর্বত পরিমাণ ঋণও থাকে তবে আল্লাহতায়ালা তোমাকে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেবেন। তারপর তাকে এই দোয়া শিক্ষা দেন। -তিরমিজি : ৩৫৬৩ আল্লাহ তায়ালা আমাদের ঋণ, অস্থিরতা, অভাব থেকে মুক্ত রাখুন। আমিন। এনএ/ |