মহানবীকে সা. কে কটূক্তির প্রতিবাদে যশোর ইমাম পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:১৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

গাজী তাওহীদুর রহমান
যশোর প্রতিনিধি

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. ও ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তির প্রতিবাদে এবং ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ, বিজেপি নেতা নিতেশ নারায়ণ রানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে যশোর জেলা ইমাম পরিষদ।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় যশোর শহরের খুলনা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এ প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা ইমাম পরিষদ যশোরের সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল করিম যশোরীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশটি শুরু হয়। সমাবেশের পর মিছিলটি চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।সমাবেশে বক্তারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার ক্ষেত্রে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে বলেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদের এই জঘন্য কটূক্তি নতুন কিছু নয়; ২০২২ সালেও বিজেপির এক নেত্রী নুপুর শর্মা আমাদের কলিজার টুকরা নবীজীকে নিয়ে জঘন্য ভাষায় কটূক্তি করেছিল। সে সময় সারা বিশ্বের মুসলমানগণ প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠায় এবং গণহারে ভারতীয় পণ্য বয়কট করায় নুপুর শর্মার নেতারা মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিল। সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, "ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং বিজেপি নেতা নিতেশ নারায়ণ রানেকে বিশ্ব মুসলিমের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।" তৌহিদী জনতার উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, "উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর উচিত জবাব দিতে আপনারা আজ থেকে সর্বতভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন এবং তা অব্যাহত রাখুন।"

সমাবেশে বক্তারা তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্তৃক বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে তীব্র নিন্দা জানাতে হবে এবং অপরাধীদের ব্যাপারে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিতে হবে।

আইন উপদেষ্টা ও ধর্ম উপদেষ্টার সমন্বয়ে বিশ্বের বহু মুসলিম দেশে প্রচলিত 'ব্লাসফেমী আইন' পাশ করে তা কার্যকর করতে হবে। যাতে বাংলাদেশেও কোনদিন রাসূল সা. অবমাননার এই ঘৃণ্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা ইমাম পরিষদের সহসভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান, জেলা ইমাম পরিষদের সেক্রেটারী মাওলানা বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা হামিদুল ইসলাম, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, মাওলানা নাজিরুদ্দীন, মুফতি শামসুর রহমান, মুফতি হাফিজুর রহমান, মুফতি কামরুল আনওয়ার নাঈম, মুফতি আব্দুর রহমান এযাযী, মুফতি উবায়দুল্লাহ শাকির, মুফতি মাহমুদুল হাসান, মুফতি কবিরুল ইসলাম, মুফতি মাসউদুর রহমান, মাওলানা আরিফুল্লাহ আলমগীর, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন, ক্বারী সবেদ আলী, মাওলানা আবু হুরায়রা, মুফতি তাওহিদুর রহমান, মুফতি ইশতিয়াক আহমাদ, মুফতি রফিক শুয়াইব, মুফতি আলাউদ্দীনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এনএ/