শিক্ষাব্যবস্থায় নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা রুখে দেওয়া হবে: গণসমাবেশে হেফাজত নেতৃবৃন্দ
প্রকাশ:
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:৪৬ রাত
নিউজ ডেস্ক |
আবদুল্লাহ ফিরোজী, সাভার প্রতিনিধি: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) উপজেলা শাখার উদ্যোগে জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দাবিতে ঐতিহাসিক গণসমাবেশ আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সিংগাইর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং সিংগাইরের মাটি ও মানুষের নেতা মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজত মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন তারুণ্যের বাতিঘর হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি বশিরুল্লাহ, সহ-দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী, দফতর সম্পাদক মুফতি আফসার মাহমুদ। গণসমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা চলছে। নব্বই ভাগ মুসলমানের এই দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা সহ কোন সেক্টরে নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না। শিক্ষা কমিশন এবং পাঠ্যপুস্তক সংস্কার কমিটিতে আলেম প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে নেতৃবৃন্দ বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে পার্শ্ববর্তী দেশের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল বাংলাদেশকে ধ্বংস করার রাজনীতি। এদেশের সম্পদ লুট করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করে দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করেছে। যেন বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অধিকার ছিনতাই করেছে। আলেম উলামাদের মাহফিলে ১৪৪ ধারা জারি করে কোরআনের আওয়াজকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল। মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী ও মুফতি মাসউদুর রহমান আইয়ুবীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণাতীতকালের বৃহৎ এই গণসমাবেশে হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সাইকোপ্যাথ কিলার হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের মানুষের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাক স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ছিনতাই করে এদেশে একনায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছিল। কিন্তু জুলাই এবং আগস্টের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়েছে। সমাবেশে উপস্থিত জনসাধারণ এবং উলামায়ে কেরাম আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওয়ায়েজ সুলতানুল ওয়ায়েজীন মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে মানিকগঞ্জ-২ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে পেতে জোর দাবি জানান এবং মুহুর্মুহু স্লোগানে গোটা এলাকা প্রকম্পিত করেন। সমাবেশে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত সিংগাইর উপজেলার সভাপতি মুফতি আব্দুল ওয়াহহাব, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবদুল্লাহ ফারুকী, জায়গীর দরবারের পীর মাওলানা দ্বীন মুহাম্মদ, হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী, মাওলানা ফজলুল করিম, মাওলানা হারুনুর রশিদ, মাওলানা আলী আকরাম, মুফতি সুলতান মাহমুদ, মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী প্রমুখ। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে সিংগাইর উপজেলার অর্ন্তগত গোবিন্দল নতুন বাজর স্পটে ৪ জনকে শহীদ, শাপল চত্বরের গণহত্যা, ২০২১ সালে হেফাজতের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা-নির্যাতন, গণগ্রেফতার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ ও বর্বরচিত হত্যাকান্ডের বিচার এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ দেশে আইনশৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি রক্ষার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হাআমা/ |