ভারতে রাসূল (সা)-এর অবমাননাকারীদের গ্রেফতার দাবি হেফাজতে ইসলামের
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:৪১ রাত
নিউজ ডেস্ক

গত আগস্ট মাসে রাসূল (সা.)-এর নামে জঘন্য কটূক্তির অভিযোগে ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য মামলা হলেও এখনো রাজ্য সরকার তাদের গ্রেপ্তার না করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে।

আজ বুধবার (২৫ সেপেটম্বর) সংগঠনটির আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান সংবাদমাধ্যমে যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী কর্তৃক পাঠানো এক বিবৃতি এ কথা বলেন। 

বিবৃতিতে তারা বলেন, মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ গত আগস্ট মাসে রাসূল (সা)-এর নামে জঘন্য কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেন। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। রামগিরির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ৫০টিরও বেশি মামলা হয়। রামগিরির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য দিতে থাকেন মহারাষ্ট্রের বিজেপির হিন্দুত্ববাদী সাংসদ নিতেশ রানে। এক বক্তব্যে নিতেশ হুমকি দিয়ে বলেন, রামগিরি মহারাজের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে, মসজিদে ঢুকে তাদের পেটানো হবে। নিতেশের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এবং তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে নিখিল ভারত মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের নেতা ও সাবেক সাংসদ ইমতিয়াজ জলিলের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘মার্চ টু মুম্বাই’ কর্মসূচির পদযাত্রা গতকাল আটকে দেয়া হয়। আমরা রামগিরি মহারাজ ও নিতেশ রানেকে দ্রæত গ্রেপ্তার করতে ইন্ডিয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, রামগিরি মহারাজ ও নিতেশ রানেকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ইন্ডিয়ায় তোলপাড় হয়ে গেলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ মিডিয়া রহস্যজনকভাবে চুপ থেকেছে! আমরা এই নীরবতারও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তারা বলেন, পৃথিবীর কোথাও রাসূল (সা)-এর অবমাননা হলে মুসলমানরা চুপ করে বসে থাকতে পারে না। এই ইস্যুতে সমগ্র উম্মাহ এক হয়ে প্রতিবাদে জেগে ওঠে। সুতরাং, মুম্বাই হাইকোর্টের এক আদেশে ফেসবুকসহ সমস্ত স্যোশাল মিডিয়া থেকে রামগিরির কটূক্তির ভিডিও সরিয়ে ফেলার যত চেষ্টাই করা হোক, মুসলমানদের এ বিষয়ে অজ্ঞাত রাখা যাবে না। আমরা খবরাখবর রাখছি এবং প্রতিবাদে সোচ্চার রয়েছি। একইসাথে ইন্ডিয়ায় সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের অব্যাহত নির্যাতন নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের জনগণের এই উদ্বেগ আমলে নিয়ে ইন্ডিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।   

হাআমা/