সিলেটে শাপলা শহিদ জাহিদের কবর জিয়ারতে নাগরিক আলেমসমাজ
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:৫৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে শহিদ হাফিজ আনোয়ার জাহিদের কবর জিয়ারত করেছেন নাগরিক আলেমসমাজের সমন্বয়করা। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর এলাকার পাঠানপাড়ায় শহিদের কবর জিয়ারত করেন তাঁরা। ২০১৩ সালে হেফাজতের আন্দোলনে সিলেটের একমাত্র শহিদ আনোয়ার জাহিদ।

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদ-আহতদের পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে শহিদদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচি পালন করছে নাগরিক আলেমসমাজ। শহিদ আনোয়ারের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে এ কর্মসূচির সূচনা হয়।

বুধবার নাগরিক আলেমসমাজের প্রধান সমন্বয়ক লেখক ও সাংবাদিক নোমান বিন আরমানের নেতৃত্বে হাফিজ আনোয়ার জাহিদের কবর জিয়ারতে অংশ নেন মিশন ওয়ান মিলিয়নের প্রধান নির্বাহী ফায়যুর রাহমান, নাগরিক আলেমসমাজের সমন্বয়ক মাওলানা কবির আহমদ খান, মাওলানা হাসান ফয়েজ, লেখক নাওয়াজ মারজান, আদিব আহমদ, মাওলানা রশীদ মুশতাক, লেখক মুতিউল মুরসালিন। শহিদ পরিবারের পক্ষে জিয়ারতে অংশ নেন আনোয়ার জাহিদের চাচা নানু মিয়া, চাচাতো ভাই মাহদী হাসান। মুনাজাত করেন শহিদ জাহিদের শিক্ষক ও আঞ্জুমানে তালিমুল কুরআন মাদরাসা সহকারী মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ আলী।

জিয়ারত শেষে নাগরিক আলেমসমাজের সমন্বয়করা শহিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় শহিদ আনোয়ারের বড়ভাই আনোয়ার পারভেজ জাহাঙ্গীর তাদের স্বাগত জানান। ঘণ্টাখানেকের আলাপে তিনি শহিদ ছোট ভাইয়ের নানা স্মৃতি রোমন্থন করেন।

জাহাঙ্গীর বলেন, নবীপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমার ভাই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছে, এ কারণে আমরা গর্বিত। দুনিয়ার কারো কাছে আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমরা চাই শাহাদাতের এ নজরানা আল্লাহ যেন কবুল করেন। শহিদের রক্তের বিনিময়ে এদেশে ইসলামের বিজয় আসুক।

জাহাঙ্গীর বলেন, শহিদ আনোয়ার ছোটবেলা থেকেই ইসলামের জন্য আন্তপ্রাণ ছিলেন। তাদের হৃদয় উজ্জীবিত ছিল ঈমানের চেতনা ও শাহাদাতের তামান্নায়। স্বজ্জন, পরোপকারী, বিনয়ী ও প্রাণখোলা মানুষ হিসেবে বন্ধু-সহপাঠীদের কাছে ছিলেন খুবই প্রিয়। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য তাঁর অন্তরে ছিল অকৃত্রিম মমতা। চব্বিশ বছরের জীবনে কারো সঙ্গে বিরোধ ছিলো না। তাঁর জীবন কেটেছে মানুষের ভালোবাসায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধের জেরে সারাদেশে হেফাজতকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংর্ঘষ ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন ৬ মে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আনোয়ার জাহিদ। তিনি হাটহাজারী মাদরাসার জালালাইন জামাতের শিক্ষার্থী ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর এলাকার পাঠানপাড়ার হাজী আনোয়ার হোসেনের তৃতীয় ছেলে। হেফাজতের নিহতদের নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিবেদনে শহিদ আনোয়ারের নাম রয়েছে।

হাআমা/