চরমোনাই পীরের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে টিন, কাঠ বিতরণ
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৩:৩৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ী-ঘর মেরামতের জন্য পীর সাহেব চরমোনাই’র পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে টিন কাঠ বিতরণ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় শতাধিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে পুনর্বাসনের জন্য টিন, কাঠ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারী  এবং খেদমতে খালক সংস্থার পরিচালক আলহাজ আল মোহাম্মদ ইকবাল। এ সময় নোয়াখালী জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইর নির্দেশ বন্যা কবলিত মানুষ পুনর্বাসিত না হওয়া পর্যন্ত সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে। সেই নির্দেশ মত নেতৃবৃন্দ বন্যার শুরু থেকে উদ্ধার কার্যক্রম, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা এবং পানি নেমে যাওয়ার পরে পুনর্বাসন কার্যক্রম  অব্যাহত রয়েছে।

সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি জেলার মাঝে ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবক টিম, সহযোগি সংগঠন ইসলামী যুব আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঞয়। এতে সভাপতিতত্ব করেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। সভায় উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ হারুন অর রশিদ, হাফেজ মাওলানা ফজলুল করীম মারূফ, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা নূরুল ইসলাম আলআমিন, জিএম রুহুল আমীন, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম।

মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ৫ আগস্ট'২৪ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। সংখ্যালঘুদের জানমাল ও তাদের ধর্মীয় উপসনালয়গুলোর নিরাপত্তায় কাজ করেছে। তখন কোন কোন দল পতিত গোষ্ঠী সুযোগের অসৎ ব্যবহারের মাধ্যমে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে মাঠে নেমে লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখলদারির অপরাজনীতি শুরু করেছে।

তিনি বলেন, আমরা এমন কোন কর্মকান্ড দেখতে চাই না। আমরা দেশকে পুনর্গঠন করতে চাই। দেশের মানুষকে সুখে শান্তিতে রাখতে চাই। এজন্য সকলের চেষ্টায় আমরা একটি ভাল দেশ গড়ে তুলবো।

কেএল/