শিক্ষকদের ভূমিকা: একটি শোষণমুক্ত, নিরপেক্ষ এবং আদর্শ সমাজ গঠন
প্রকাশ:
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:৫৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
|| মোঃ আব্দুস সবুর || শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। এটি শুধুমাত্র শিক্ষা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি জাতির ভিত্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। শিক্ষকরা শুধুমাত্র শিক্ষাদান করেন না; তারা একটি জাতির মানসিক ও নৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষকরা সমাজের পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করার মূল কারিগর, যারা মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং সচেতনতার বীজ বপন করেন। তাদের মাধ্যমে একটি শোষণমুক্ত, নিরপেক্ষ এবং আদর্শ সমাজ গড়ে তোলার পথ সুগম হয়। বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, এই ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং শিক্ষকদের চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা সাম্প্রতিক সময়ে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, যা শুধু শিক্ষার মানকেই নয়, বরং সামগ্রিক সামাজিক কাঠামোকেও প্রভাবিত করছে। একটি দেশের উন্নয়ন এবং সমাজের কাঠামো অনেকাংশে নির্ভর করে সেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উপর, এবং এই ব্যবস্থায় শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিক্ষকদের সামনে কিছু জটিল চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, যা একটি শোষণমুক্ত, নিরপেক্ষ এবং আদর্শ সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। ১. কোচিং বাণিজ্যের প্রসার বাংলাদেশে কোচিং বাণিজ্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসের তুলনায় কোচিং সেন্টারে বেশি সময় ব্যয় করছে। এর ফলে, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছে। শিক্ষকেরা অনেক সময় কোচিং সেন্টারে বেশি মনোযোগ দেন এবং স্কুলের পাঠদানে অবহেলা করেন, যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ২. রাজনৈতিক চাপ ও প্রভাব বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় রাজনৈতিক প্রভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক সময় শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব পড়ে। এর ফলে, যোগ্য শিক্ষকেরা তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারেন না এবং শিক্ষার মান নষ্ট হয়। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন এবং সংঘাতের আশঙ্কাও বাড়ছে, যা একটি নিরপেক্ষ সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। ৩. শিক্ষার মানের অবনতি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মান অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা গড়ে তোলার পরিবর্তে শুধুমাত্র মুখস্থবিদ্যার উপর বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। এর ফলে, শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে অক্ষম হয়ে পড়ছে, যা আদর্শ সমাজ গঠনের পথে একটি বড় বাধা। ৪. সামাজিক অবিচার ও বৈষম্য বাংলাদেশের সমাজে এখনো দারিদ্র্য, সামাজিক অবিচার এবং বৈষম্য ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। শিক্ষার সুযোগ সব শ্রেণীর জন্য সমান নয়। গ্রামীণ ও শহুরে এলাকার শিক্ষার মধ্যে একটি বড় বৈষম্য দেখা যায়। এছাড়া, সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার সুযোগও সীমিত। শিক্ষকেরা যদি এই বৈষম্য কমানোর জন্য কাজ না করেন, তাহলে সমাজে শোষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। ৫. শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও ক্ষমতায়নের অভাব বাংলাদেশের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি রয়েছে। শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ সীমিত, যা তাদের পেশাদারিত্বকে ব্যাহত করছে। এর ফলে, শিক্ষকেরা প্রায়শই শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে গাইড করতে পারেন না এবং শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হন। ৬. শিক্ষকদের উপর সামাজিক ও পারিবারিক চাপ বাংলাদেশের শিক্ষকদের উপর সামাজিক ও পারিবারিক চাপও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক শিক্ষকই তাদের কাজের পাশাপাশি পারিবারিক এবং সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শিক্ষাদানের প্রতি প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারেন না। এছাড়া, সমাজের নানা স্তরে শিক্ষকদের প্রতি পর্যাপ্ত সম্মান এবং মর্যাদা প্রদানের অভাব রয়েছে, যা তাদের কাজের প্রতি উদ্দীপনা কমিয়ে দেয়। ৭. ধর্মীয় ও সামাজিক সহিংসতার প্রভাব বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় ও সামাজিক সহিংসতা বেড়ে চলেছে, যা শিক্ষাব্যবস্থার উপরও প্রভাব ফেলছে। ধর্মীয় বিভেদ এবং সামাজিক দ্বন্দ্ব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্বেষ ও অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। শিক্ষকেরা যদি এই বিষয়গুলো মোকাবেলা করতে সচেতন না হন, তাহলে সমাজে শান্তি এবং সহনশীলতার পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না। শিক্ষকদের দায়িত্ব ও করণীয় শিক্ষকতা পেশা শুধু শিক্ষাদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি একটি জাতির ভিত্তি স্থাপনে এবং সমাজকে শোষণমুক্ত, নিরপেক্ষ ও আদর্শ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে, যেখানে নানা সামাজিক ও শিক্ষাগত চ্যালেঞ্জ বিরাজ করছে, সেখানে শিক্ষকদের দায়িত্ব এবং করণীয় আরও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তারা কেবল শিক্ষার্থীদের জ্ঞান প্রদানকারীর ভূমিকায় নয়, বরং তাদের নৈতিক এবং সামাজিক বিকাশের পথপ্রদর্শক হিসেবেও কাজ করেন। ১. মানবিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার শিক্ষা প্রদান শিক্ষকদের প্রধান দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার বীজ বপন করা। আজকের সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের যে লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে, সেগুলো দূর করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদেরকে মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, সহমর্মিতা এবং সৎ জীবনযাপনের শিক্ষা দিতে হবে। এই শিক্ষাগুলো একজন শিক্ষার্থীকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে। ২. নিরপেক্ষ এবং বৈষম্যহীন চিন্তার বিকাশ নিরপেক্ষ এবং বৈষম্যহীন চিন্তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিকশিত করা শিক্ষকদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ, অর্থনৈতিক স্তর ইত্যাদির ভিত্তিতে যে বৈষম্য সমাজে দেখা যায়, তা দূর করতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমতা ও সহাবস্থানের চেতনা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে শিখাতে হবে যে সমাজে সবাই সমান এবং সবার প্রতি সমান মর্যাদা প্রদর্শন করা উচিত। শিক্ষার মাধ্যমে এই মূল্যবোধগুলো তাদের মধ্যে গড়ে তুলতে পারলে সমাজে বৈষম্যের শিকড় কেটে ফেলা সম্ভব হবে। ৩. সমালোচনামূলক চিন্তা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নয়ন বর্তমান যুগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তথ্যপ্রযুক্তি এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজে শিক্ষার্থীরা যাতে সঠিকভাবে চিন্তা করতে এবং জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করতে পারে, সে জন্য শিক্ষকদের সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলক চিন্তা বিকাশের দিক নির্দেশনা দিতে হবে। শিক্ষকদের এই দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের পেশাগত জীবনেও সাফল্যের পথে এগিয়ে নেবে। ৪. সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা শিক্ষকদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সমাজের সেবা এবং উন্নয়নে অংশগ্রহণের মানসিকতা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং সেবার মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদেরকে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদেরকে সেই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য উদ্ভাবনী ধারণা প্রদানের প্রেরণা দেওয়া। ৫. আধুনিক শিক্ষার প্রয়োগ ও প্রযুক্তির ব্যবহার প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে শিক্ষার পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসছে। শিক্ষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং শিক্ষার্থীদেরকে সেই প্রযুক্তির ব্যবহার শেখাতে হবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের সাথে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে এবং তারা ভবিষ্যতে একটি বৈশ্বিক সমাজে নিজেদের স্থান করে নিতে সক্ষম হবে। উদাহরণস্বরূপ, অনলাইন শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদেরকে নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করানো জরুরি। ৬. সামাজিক সচেতনতা এবং ঐক্য বজায় রাখা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সামাজিক বিভেদ, ধর্মীয় সহিংসতা এবং রাজনৈতিক বিভাজন দিন দিন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষকদের ভূমিকা আরও গুরুত্ববহ। তাদেরকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা এবং ঐক্যের চেতনা জাগ্রত করতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে শেখাতে হবে যে সমাজে একতা, সংহতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই চেতনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে তোলার মাধ্যমে শিক্ষকেরা সমাজে শান্তি এবং সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। ৭. শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক এবং মানসিক বিকাশে সহায়তা শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক এবং মানসিক বিকাশে শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান যুগে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ, হতাশা, এবং উদ্বেগের সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তাদের মানসিক এবং মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে সহায়তা করা। শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতার জন্য শিক্ষকরা যদি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং নির্দেশনা প্রদান করেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং সুস্থ থাকতে পারবে, যা তাদের শিক্ষাজীবনে এবং সামাজিক জীবনে সফল হতে সহায়ক হবে। ৮. সামাজিক এবং পরিবেশগত সচেতনতার বিকাশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক এবং পরিবেশগত সচেতনতা গড়ে তোলা শিক্ষকদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। বর্তমান বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ দূষণের কারণে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা মোকাবেলা করতে শিক্ষার্থীদেরকে পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে শেখাতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে পরিবেশের গুরুত্ব এবং পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এছাড়া, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং মানবিক মূল্যবোধ শেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদেরকে সামাজিক সচেতনতার শিক্ষা দিতে হবে। ৯. নেতৃত্বের গুণাবলী এবং দলবদ্ধ কাজের চেতনা গড়ে তোলা
শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী এবং দলবদ্ধ কাজের চেতনা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের দায়িত্ব অপরিসীম। শিক্ষার্থীরা যাতে ভবিষ্যতে সমাজে নেতা হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে, তার জন্য তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত করা এবং দলবদ্ধভাবে কাজ করার দক্ষতা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। এই দক্ষতাগুলো শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সফল হতে সহায়তা করবে। উপসংহার শিক্ষকদের উপর একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। তারা যদি তাদের দায়িত্ব এবং করণীয় সঠিকভাবে পালন করেন, তাহলে আমাদের সমাজে শোষণমুক্ত, নিরপেক্ষ এবং আদর্শ পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। শিক্ষকদের ভূমিকা শুধু শিক্ষাদানে সীমাবদ্ধ নয়; তারা সমাজের প্রগতির পথপ্রদর্শক। তাদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং দায়িত্বশীল আচরণই একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ এবং মানবিক সমাজ গঠনে প্রধান অবদান রাখতে পারে। বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, শিক্ষকদের এই দায়িত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং তারা জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে জাতির সার্বিক উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবেন। লেখক: লেকচারার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেএল/ |