‘ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে’
প্রকাশ:
২৯ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৪১ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের পথচলায় আলেমদের ঐক্যসহ মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন তরুণ আলেমরা। বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও বন্যায় শহীদদের মাগফিরাত কামনা এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে আলেম সমাজের করণীয় শীর্ষক আলোচনায় সভায় এসব প্রস্তাব দেন তারা। রাজধানীর পল্টনে ইকোনোমিক রিপোর্টাস ফোরাম অডিটোরিয়ামে ন্যাশনাল ইসলামিক ফোরাম বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় এই আলোচনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের মহাসচিব আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষকে ইসলামের শিক্ষা ও মূল্যবোধের বাইরে ক্ষমতায় গেলেও — সেটা বিপ্লব দিয়ে হোক, নির্বাচন দিয়ে হোক — তা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত করতে হবে। এক জায়গায় থেকে কাজ করতে হবে। আমরা ইসলামের একটি ব্যালট বাক্স চাই, ইসলামের নামে একাধিক ব্যালট বাক্স চাই না। তিনি বলেন, এই রাষ্ট্রের বয়স কম নয়। অথচ প্রাপ্তি অনেক কম। আমাদের অনেক পরে মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম হয়েছে। অথচ তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। আমাদের ত্রুটি কোথায় ছিল, এসব চিহ্নিত করতে হবে। পৃথিবীতে যারাই উন্নত, তাদের শিক্ষাব্যবস্থাও উন্নত। এইখাতে বাজেট সবচেয়ে বড়। শিক্ষার মান বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ভিন্নতা আনতে হবে। দেশের যুবসম্পদকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজা বলেন, দেশে চার কোটি যুবক। এত তরুণ এত যুবক তবুও কেন আমরা পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের কোটি কোটি তরুণ-যুবকদের কাজে লাগাতে হবে। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন- দৈনিক নয়াদিগন্তের সিনিয়র সহ সম্পাদক মাওলানা লিয়াকত আলী, সব্যসাচী লেখক মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের অধ্যাপক ড. মুফতি গোলাম রব্বানী, ঢাকা মেইলে যুগ্ম বার্তা সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, কাজী সিকান্দার, আলি হাসান তৈয়্যব, মাওলানা মনজুর আহমদ কাসেমী, মুফতি আব্দুল কাদির প্রমুখ। আলোচনা সভায় আলেম সমাজের প্রতি কয়েকটি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। সেগুলো হলো- ১. আলেমদের কুরআন-হাদিসভিত্তিক আসলাফের পদাঙ্ক অনুসরণের প্রতি আহ্বান করা হচ্ছে। ২. বর্তমান সময়ে এক প্লাটফর্মে আসা। একক নেতৃত্বের পরিবেশ তৈরি করা। ৩. প্রকাশ্যে কোন আলেমের সম্মানহানি না করা। প্রত্যেক আলেম তার অনুসারীদের অনলাইনের কার্যক্রম তদারকি করা। ৪. মাদ্রাসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেওবন্দের আট উসূল পরিপূর্ণ পালনের প্রতি লক্ষ্য রাখা। ৫. দেশীয় কাজে সর্বাগ্রে আলেম সমাজের ভূমিকা রাখা এবং তা সামাজে বহুল প্রচার করা। ৬. মসজিদ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা চালানো। ৭. অতীতের বিভিন্ন আন্দোলনসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যত আলেম অন্যায়ভাবে শহীদ হয়েছেন তাদের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা এবং তাদের পরিবারকে সহযোগীতা করা। কেএল/ |