চিরনিদ্রায় শায়িত আরজাবাদ মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ তৈয়্যব
প্রকাশ:
২৮ আগস্ট, ২০২৪, ০১:৪১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাজধানী মিরপুরের অন্যতম বিদ্যাপীঠ জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদের মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ তয়্যিব রাহিমাহুল্লাহ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এশার নামাজের পর আরজাবাদ মাদরাসা প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে তার জানাযার নামাজ পড়ান একমাত্র ছেলে হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ। মাওলানা মুহাম্মদ তয়্যিব গতকাল বেলা তিনটার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার ইন্তেকালের খবরে আলেমসমাজে শোকের ছায়া নেমে আসে। জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে মাওলানা মোহাম্মদ তয়্যিব অসুস্থ ছিলেন। সম্প্রতি উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত নেওয়া হয়। ভারতে চিকিৎসা শেষে তিনি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন। মাওলানা মোহাম্মদ তয়্যিবের জন্ম ১৯৬৩। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব (দক্ষিণ) থানার নারায়নপুর ইউনিয়নের বাড়ৈগাও মজুমদার বাড়ি। পিতা নুর মোহাম্মদ মজুমদার। মায়ের দিক থেকে তিনি উজানীর পীর কারী ইবরাহিম রহমাতুল্লাহি আলাইহির আত্মীয়। মাওলানা মোহাম্মদ তয়্যিব আট ভাই দুই বোনের মাঝে তৃতীয়। স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন মাওলানা মোহাম্মদ তয়্যিব। মাঝে কিছুকাল উজানীর মক্তবে পড়েন। পরবর্তীতে ঢাকার ফরিদাবাদ মাদরাসায় ভর্তি হন। তার সহপাঠীদের মধ্যে ফরিদাবাদের শিক্ষক মাওলানা আব্দুল সালাম ও হাটহাজারীর প্রধান মুফতি মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ অন্যতম। ফুনুনাতে আলিয়ায় হাটহাজারীতে তার সঙ্গে মাওলানা নজরুল ইসলাম ছিলেন। তিনি ফরিদাবাদের বর্তমান নাজেমে দারুল ইকামা। কর্মজীবন শুরু করেন তিনি আরজাবাদ মাদরাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে। মাঝে কিছুদিন সাভার রাজফুলবাড়িয়া মাদরাসায় হাদিসসহ ও অন্যান্য কিতাবের দরস দিতেন। পরে শরীরে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় আল্লামা শামছুদ্দীন কাসেমি রহ. এর পরামর্শে ওই মাদরাসা থেকে ইস্তেফা নেন। ১৯৯০ সালে আল্লামা শামছুদ্দীন কাসেমি রহ. এর বড় মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ে পড়িয়েছেন ফেদায়ে মিল্লাত সাইয়্যিদ আসআদ মাদানি রহ.। দুই কন্যা ও এক ছেলের জনক তিনি। ছেলে জামেয়া আরজাবাদ থেকে তাকমিলও ইফতা সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে ‘ইলমে কালামের সহজ পাঠ’ বিষয়ে তার অনুবাদ গ্রন্থ রচিত হয়েছে। মাওলানা মোহাম্মদ তয়্যিব আটবার পবিত্র হজপালন করেছেন। অধিকাংশ সময় পরিবারের সব সদস্য নিয়ে হজ করেন। তার ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা শায়খ জিয়াউদ্দিন, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী। খিদমাহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও রাজধানী গুলিস্তান পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদের খতিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একাংশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দীন ইকরাম। কেএল/ |