সারাদেশে ট্রাফিক সেবায় প্রশংসা কুড়িয়েছে মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ:
১৮ আগস্ট, ২০২৪, ০৭:২০ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
|| মো. সাখাওয়াত হোসেন || সারাদেশে উদ্ভুত পরিস্থিতে সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং যানযট নিরসনে ট্রাফিকের ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় মাদরাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষকদেরও। শিক্ষার্থী-জনতার পাশাপাশি মাদ্রাসার শিক্ষকদের এ ধরণের ভূমিকা রাখায় সর্বস্তরে প্রশংসায় ভাসছেন আলেমসমাজ। সরেজমিনে শনিবার বিকেলে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট, বঙ্গভবন রোড, উত্তরার আব্দুল্লাহপুর সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুফতী জয়নুল আবেদীন, মুফতী মো. নাজমুল হুদা, মুফতী মো. মুনাওয়ার হুসাইন, মুফতী আহমদ কবির, মুফতী জসিম উদ্দীন সিদ্দিকী, হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন শেখ, মাওলানা মো. মনিরুজ্জামান, মাওলানা মো. সোহেল রানা, মাওলানা মো. এনামুল হক ফরিদী, মাওলানা মো. লুৎফুর রহমান, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা আবুল বাশার, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা মো. কামাল হোসেন, মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মাওলানা মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ। এবিষয়ে দায়িত্বপালনরত মুফতী জয়নুল আবেদীন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, "সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষার্থী- জনতার পাশাপাশি মাদরাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষকগণ (আলেমওলামাগণ) শুধু ঢাকা শহরেই নয় সারাদেশেই আমরা এই ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছি। আমরা মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া সহ ট্রাফিক আইন পালনে সচেতন করছি। দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে যেকোনো দুর্যোগে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী- শিক্ষকগণ (আলেমওলামাগণ) নিজ দায়িত্ববোধ থেকে জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে।" আরেকজন মাদরাসার শিক্ষক মুফতি মুনাওয়ার হুসাইন বলেন, "করোনা মহামারীর সময়ে স্বেচ্ছাশ্রমে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবা, লাশ গোসল ও দাফন সহ জীবন বাজি রাখা আলেমদের মানবিক সেবামূলক কার্যক্রম ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বর্তমান সময়েও সড়ক মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ট্রাফিক সেবা প্রদান, রাস্তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় পাহারায় ছাত্র জনতার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে মানবিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ভালোবাসা বিতরণ করে যাচ্ছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষকগণ। দেশ ও জনগণের সেবায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষকগণ সহ সকল ছাত্র ভাই-বোনদের এবং সর্বসাধারণের সেবামূলক কার্যক্রম সমূহ মহান আল্লাহ কবুল করুন, আমিন।" রাজধানী ঢাকার ব্যস্ত সড়কে ট্রাফিক সেবা প্রদানকালে চালক, যাত্রী ও পথচারীগণ আলেম সমাজের এমন জনসেবা মূলক কার্যক্রম দেখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভূয়সি প্রশংসা করছেন সর্বস্তরের জনগণ। ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মাসউদুর রহমান বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমামগণ করোনা কালীন সময়ে দেশের মানুষের কল্যাণে লাশ দাফন কাফন করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানবসেবামূলক কাজ করেছেন, বর্তমানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতেও সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ছাত্র জনতার পাশাপাশি আলেমরাও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন। সময় এসেছে আলেমদের মূল্যায়ন করার, তাই বর্তমান সরকারের কাছে আলেমদের মূল্যায়ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি। জসিম উদ্দিন নামে এক বাস ড্রাইভার বলেন, আলেমরা সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি, দুঃসময়ে সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে অবশ্যই প্রসংশা পাওয়ার দাবিদার তারা। আব্দুল্লাহ নামে এক পথচারী বলেন, কিছু কিছু মানুষ বলে যে, হুজুররা (আলেম ওলামাগণ) শুধু মাদ্রাসা-মসজিদ নিয়েই থাকেন তারা সমাজের অন্য কোনো কাজ করেন না, শুধু মাদ্রাসা-মসজিদ নিয়েই থাকে। এখন তারা কোথায় ! তারা হুজুর দের এসব কাজ দেখে না ? হাআমা/ |