লুটপাট ও আত্মসাৎ ইসলামের দৃষ্টিতে গর্হিত কাজ
প্রকাশ:
০৬ আগস্ট, ২০২৪, ১০:১৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
যারা ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, নদ-নদী ও মরুভূমিতে নিরস্ত্র নিরীহ মানুষের উপর হামলা করা বা প্রকাশ্যে মানুষের ধন-সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে গর্হিত কাজ। ইমরান ইবনুল হুসায়ন (রা.) থেকে বর্ণিতঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ছিনতাই ও লুটতরাজ করে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি লুট করে কিছু আত্মসাৎ করে , সে আমাদের দলভুক্ত নয়। আদী ইবনু সাবিত (রহ.)-এর নানা ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ইয়াযীদ আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লুটতরাজ করতে এবং জীবকে বিকলাঙ্গ করতে নিষেধ করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লুটতরাজ ও অঙ্গহানি করতে নিষেধ করেছেন। রাসুল (সা.) লোকদের বাইয়াত গ্রহণ করতেন এই শর্তে, যে তারা ডাকাতি করবে না। কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহ.) ও মুহাম্মাদ ইবনু রুমূহ (রহ.) উভয়ে উবাদাহ ইবনু সামিত (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি সেসব নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলাম, যারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বাইআত নিয়েছিলেন। আমরা শপথ নিলাম যে, আমরা আল্লাহর সাথে কোনো কিছু শারীক করবো না, ব্যভিচার করবো না, চুরি করবো না, কাউকে হত্যা করবো না- যেগুলো আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন। কিন্তু ন্যায়সঙ্গতভাবে (অর্থাৎ- কিসাস তথা অবৈধ হত্যার পরিবর্তে বা মুরতাদ হলে বা বিয়ের পর যিনা করলে হত্যা করবে)। আর ডাকাতি করবো না ও কোন প্রকার নিষিদ্ধ কর্মও করবো না। যদি আমরা ঐরূপ কার্যাবলী না করে চলতে পারি তবে আমাদের জান্নাত মিলবে। আর যদি আমরা উল্লিখিত অপরাধের কোনটিতে লিপ্ত হই, তবে এর ফায়সালা আল্লাহর কাছেই। ইবনু রুমহ বলেন, এর ফায়সালা মহান আল্লাহর কাছেই। আবূ হুরায়রা (রা.) সূত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন, যখন কোন ব্যভিচারী ব্যভিচার করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না, যখন চোর চুরি করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় চুরি করে না, যখন কোন মদ্যপায়ী মদ পান করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় মদপান করে না, আর যখন কোন ডাকাত লোক চক্ষুর সামনে ডাকাতি করে, তখনও সে মুমিন অবস্থায় ডাকাতি করে না। এন এ /
|