ব্রণের সমস্যায় যা করবেন
প্রকাশ: ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০৯:৩১ রাত
নিউজ ডেস্ক

ব্রণ দূর করতে অনেকে বাজার থেকে নাম না জানা ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আর ত্বকের ক্ষতি তো হয়েই থাকে। এমনও হতে পারে ক্রিমে মেশানো উচ্চ মাত্রায় স্টেরয়েড ও নানা রাসায়নিক ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি করে দিতে পারে। 

পিরিয়ডসে ব্রণের সমস্যার সমাধান

১. পিরিয়ডের সময় ঘনিয়ে এলে ওই সময়টাতে বেশি করে পানি খাওয়া উচিৎ। এ সময়ে পর্যাপ্ত পানি খেলে ত্বক আর্দ্র থাকবে, ফলে ব্রণ, ফুসকুরির সমস্যা হবে না।

২. ত্বক তৈলাক্ত হয়ে গিয়েই যেহেতু ব্রণর সমস্যা হয়, তাই ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করা জরুরি। ফেসওয়াশ কেনার সময় দেখে নিন তা অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ কি না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৩. অনেকেই ব্রণ খুঁটে ফেলেন। বার বার ব্রণ স্পর্শ করলে ব্রণের জীবাণু ত্বকের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে ব্রণ তো কমেই না, উল্টে বেড়ে যায়।

৪. অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ না। ভাজাভুজি, নরম পানীয়, চকোলেট, মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি না খাওয়াই ভাল। তার বদলে শাকসবজি ও প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি ফল খাওয়া ভালো। এছাড়া এ সময় ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া উচিৎ। চিনি কম খান, কফি খাওয়ার মাত্রা কমান। হালকা মেকআপ ব্যবহার করুন।

৫. এ সময় ত্বকে অতিরিক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার করাও উচিৎ না। পিরিয়ড শুরু হওয়ার অন্তত সাত দিন আগে থেকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড দেওয়া ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন দিনে একবার। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড দেওয়া ফেস সিরাম ব্যবহার করতেও ভুলবেন না। এটি আপনি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে ব্রণর সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৬. ডিম্বাশয়ে সিস্ট হচ্ছে কি না তা একবার পরীক্ষা করিয়ে নিন। গালে, থুতনিতে ব্রণর সমস্যা যদি একান্তই না কমে তাহলে চিকিৎসককে দেখান। ঠিকমতো পরীক্ষা করলে বিষয়টি বোঝা যাবে এবং সিস্ট থাকলে চিকিৎসা করতে হবে।

৭. নিয়মিত ব্যস্ততা যতই থাকুক, নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা সময় রাখতে হবে শরীরচর্চার জন্য। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত ঘুমও দরকার। প্রতিদিন টানা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।

এনএ/