মহররম যে কারণে ‘আল্লাহর মাস’
প্রকাশ: ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০৩:০৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

।। বিন ইয়ামিন ।।

হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত সম্মানিত চার মাসের একটি মহররম। হাদিসে বড় মর্যাদার কথা এসেছে এ মাসের। মহররমের ১০ তারিখকে বলা হয় আশুরা। এটি ইসলামের ইতিহাসে ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় একটি দিন। এর কারণে মহররম মাসের ফজিলত বেড়েছে বহুগুণে।

রমজানের পর হিজরি সনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মাস মহররম। এই মাসকে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘আল্লাহর মাস’ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- “আল্লাহর মাস মহররমের রোজা হলো, রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ) “ (মুসলিম)

সব মাসই তো আল্লাহর,তাহলে মহররমকে বিশেষভাবে আল্লাহর মাস বলার কারণ কী?

এর জবাবে বলা হয়, এই মাসের বিশেষ ফজিলত বোঝাতেই মূলত একে আল্লাহর মাস হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। উল্লিখিত হাদিসে বলা হয়েছে, মহররম মাসের রোজা রমজানের পর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। আল্লাহর মাস বলার এটিও একটি কারণ।

মহররম মাসের রোজার মধ্যে আশুরার রোজার ফজিলত আরও বেশি। আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে রমজান ও আশুরার দিন যে গুরুত্ব দিয়ে রোজা রাখতে দেখেছি, তা অন্য সময় দেখিনি।” (বুখারি)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যদি তুমি রমজানের পর রোজা রাখতে চাও, তবে মহররম মাসে রাখো। কারণ এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্য জাতির তওবাও কবুল করবেন।” (তিরমিজি)

বিনু/