দেশের এক কোটি মানুষ মাদকাসক্ত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ: ১৫ জুলাই, ২০২৪, ১০:৩৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশে বর্তমানে এক কোটি মানুষ নাকি মাদকাসক্ত। এটা একটি ভয়ংকর সংখ্যা। দেশের ভবিষ্যৎ ছেলেমেয়েরা যেন পথ না হারায়। তারা যেন সর্বনাশা নেশায় সম্পৃক্ত না হয় সেজন্য মাদকের আগ্রাসন রুখতে আমরা কাজ করছি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোসহ মাদকবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। 

রোববার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এদিন সকাল ৮টায় রমনা পার্ক এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার হলে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।

মন্ত্রী বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বে মাদক একটি মারাÍক সামাজিক ব্যাধি হিসাবে দেখা দিয়েছে। পাশের যে দেশগুলো থেকে মাদক আসছে, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে তারাও কাজ করছে। ভৌগোলিক কারণে মাদক বলয় গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ট্রায়াংগেলের পাশেই আমাদের অবস্থান। সেজন্য আমাদের দেশে এর প্রভাব খুব গুরুতরভাবে আমরা মোকাবিলা করে আসছি। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠিন নজরদারি কার্যক্রম আমরা বৃদ্ধি করেছি। মাদকের ক্ষতি হ্রাসের জন্য চিকিৎসা পুনর্বাসন করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে সরকারি ও বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা জোরদার করা হয়েছে। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ৩৩৮টি মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের অনুকূলে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। 

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের ভুল পথে নেওয়ার লোকের অভাব নেই। সেই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কারা উসকানি দিয়েছে এবং কারা দায়ী সব বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে। 

শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য। সে ক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা কি হবে; এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা করতে পারেন। মামলা তদন্তের পর যদি মেরিট না থাকে তবে অটোমেটিক বাতিল হয়ে যেতে পারে। 

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রোববারও শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমেছেন। শিক্ষার্থীরা কেন কথা শুনছেন না?Ñএমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (শিক্ষার্থীরা) যা করছে মনে হয় না বুঝে করছে। সুপ্রিমকোর্ট থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ৮ আগস্ট শুনানি হবে। শুনানিতে তাদেরও (শিক্ষার্থীদের) অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। 

এনএ/