হারাম উপার্জন থেকে দান করলে কি সওয়াব হয় ?
প্রকাশ:
০৯ জুলাই, ২০২৪, ০৯:১৪ রাত
নিউজ ডেস্ক |
|| নুর আলম সিদ্দিকী || ইসলামে হালাল উপার্জনের গুরুত্ব অপরিসীম। নামাজের পর অন্যতম ফরজ ইবাদত হলো হালাল উপার্জন করা। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘যখন নামাজ শেষ হয় তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তথা রিজিক অনুসন্ধান করো। আর বেশি পরিমাণে আল্লাহর স্মরণ করো; যেন তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা : জুমুআ, আয়াত : ১০) অবৈধ উপায়ে সম্পদ উপার্জন করা হারাম। হারাম সম্পদ উপার্জনকারীর দুনিয়া ও আখেরাতে কোনো উপকারেই আসে না। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- অন্য আরেকটি হাদিসে এসেছে- অন্যায়, অবৈধ ও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ উপার্জন হারাম। সুদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, জুয়া, মিথ্যাচার, চাঁদাবাজি, জবরদখল, যৌতুক, প্রতারণা ও প্রশ্নফাঁসসহ যাবতীয় অসামাজিক অনাচারে লিপ্ত হয়ে জীবিকা উপার্জন করা হারাম। এসব অবৈধ পন্থায় উপার্জন করার ব্যাপারে মহান আল্লাহ নিষেধ করে বলেন, আর তোমরা পরস্পরে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না এবং বিচারকের কাছে সে সম্পর্কে এই উদ্দেশ্যে মামলা রুজু করো না যে, মানুষের সম্পদের কোন অংশ পাপের মাধ্যমে জেনে বুঝে খেয়ে ফেলতে পার। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৮) হালাল পথে চলার নির্দেশনা দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা পবিত্র বস্তু আহার করো, যেগুলো আমি তোমাদের রিজিক হিসেবে দান করেছি এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো, যদি তোমরা একমাত্র তারই ইবাদত করে থাকো। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৭২) হারাম পথে উপার্জন করে তা দান করার ব্যপারে রাসুল সা. ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোনো পাপ পথে সম্পদ উপার্জন করল তারপর তা আত্মীয়তা রক্ষায় ব্যয় করল বা সদকা করল অথবা তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করল; তাহলে (কিয়ামতের মাঠে) এসব কিছুই একত্রিত করা হবে এবং তা জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। (মারাসীল আবু দাউদ)। হারাম পথে উপার্জনকারীর কোনো আমলই মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, “হে মানুষ, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা অতিপবিত্র। তাই তিনি পবিত্র বস্তু ছাড়া কোনো কিছু গ্রহণ করেন না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের হারাম উপার্জন থেকে বাচিয়ে রেখে হালাল উপার্জন করার তাওফিক তান করুন। লেখক: তরুণ আলেম ও সংবাদকর্মী এনএ/ |