হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর বিধান
প্রকাশ:
০৮ জুলাই, ২০২৪, ১১:৩০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
১৪৪৫ হিজরি সনকে বিদায় জানিয়ে শুরু হলো ১৪৪৬ হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররম। বাংলা ও ইংরেজি বর্ষে আমাদের দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন তথা কর্মসূচি পালন করা হয়। অনেকেই একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন। ‘কুল্লু আম ওয়া আনতুম বি খাইর’ (সারাবছর আপনারা কল্যাণে থাকুন) এমন বাক্যে অন্যের জন্য শুভকামনা ও দোয়া করে থাকেন। এ বিষয়টা ইসলামে অবৈধ বা মাকরূহ নয়, একে ফুকাহে কেরাম মুবাহ আমল বলে গণ্য করেছেন। (মুবাহ বলা হয় হালাল বা জায়েয, যে আমলের সাথে সত্তাগতভাবে কোনো আদেশ বা নিষেধ সম্পৃক্ত নয়।) তবে এক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে নিজের পক্ষ থেকে কাউকে শুভেচ্ছা না জানানো। তবে যদি কেউ শুভেচ্ছা জানায় তাহলে এর উত্তর দেওয়া যেতে পারে। যদি কেউ বলে যে, ‘নববর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি’। তাহলে জবাবে বলুন; ‘আল্লাহ্ আপনাকে কল্যাণ দিন এবং এ বছরটিকে কল্যাণ ও বরকতের বছরে পরিণত করুন।’ কিন্তু প্রথমে নিজের থেকে অন্যদেরকে শুভেচ্ছা না জানানোই শ্রেয়। কারণ সালফে সালেহিন নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতেন বলে এমন কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না। ঈদসহ বিভিন্ন উপলক্ষে মুসলমানের জন্য সাধারণ দোয়া করা সমস্যার কিছু নয়; তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই দোয়ার ভাষ্যকে বিশেষ কোনো ইবাদত হিসেবে বিশ্বাস করা যাবে না। সাধারণত এ ধরণের শুভেচ্ছার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও অন্যের চেহারায় আনন্দ ও খুশি ফুটিয়ে তোলা। তবে এর পরিবর্তে এই সময়ে দোয়ার প্রতি মনোযোগ দেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইমাম আবুল কাসেম বাগাভী রহ. ‘মুজামুস সাহাবা’ কিতাবে নতুন মাস ও নতুন বছরের শুরুতে একটি দোয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। হজরত আবদুল্লাহ বিন হিশাম রা. বলেন- ‘সাহাবায়ে কেরাম নতুন মাস বা নতুন বছর শুরুর এ দোয়াটি তেমন গুরুত্ব দিয়ে শিখতেন, যেভাবে কোরআনুল কারিম শিখতেন। দোয়াটি হলো- اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ، وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلَامَةِ، وَالْإِسْلَامِ، وَرِضْوَانٍ مِنَ الرَّحْمَنِ، وَجَوَار مِنَ الشَّيْطَانِ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আদখিলহু আলাইনা বিল-আমনি, ওয়াল ইমানি, ওয়াস সালামাতি, ওয়াল ইসলামি, ওয়া রিদওয়ানিম মিনার রাহমানি, ওয়া ঝাওয়ারিম মিনাশ শায়ত্বানি। অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের ঈমান ও ইসলামকে নিরাপদ করুন। আমাদের সুরক্ষা দিন। দয়াময় রহমানের কল্যাণ দান করুন। শয়তানের কুমন্ত্রণার মোকাবেলায় আমাদের সাহায্য করুন। -(মুজামুস সাহাবাহ, ৩/ ৫৪৩, ইবনে হাজার আসকালানী, ৪/২৫৬, উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১০/৯৩) এনএ/ |