মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ 
প্রকাশ: ০৫ জুলাই, ২০২৪, ০২:১৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বুধবার আমরা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সঙ্গে বসেছি। তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। যেসব কর্মী যেতে পারেননি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তারা (বায়রা) ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয় গত ৩১ মে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশটিতে যেতে ব্যর্থ হয় প্রায় ৫০ হাজার কর্মী। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজারের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র ছিল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা।   

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণকারী নির্ধারিত ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মীদের টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব নেবে। কর্মী প্রেরণ প্রক্রিয়ায় জড়িত সকল রিক্রুটিং এজেন্সির কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের টাকা ফেরত প্রদানের বিষয়টি বায়রা তত্ত্বাবধান করবে।’  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীর টাকা ফেরত দিতে অসহযোগিতা করলে বায়রা মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’ 

এ সময় শফিকুর রহমান জানান, গত ৩১ মে পর্যন্ত বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৭২৯ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫২ জন মালয়েশিয়া গেছে। সেই হিসাবে ১৭ হাজার ৭৭৭ জন যেতে পারেননি।

এর আগে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে মালয়েশিয়া। ২০২২ সালে আবারও শ্রমবাজার খোলার পর ৪ লাখের বেশি বাংলাদেশি সেখানে গেছেন। সৌদি আরবের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। বর্তমানে ১২ লাখের বেশি কর্মী রয়েছেন দেশটিতে। 

এ মাসের শেষে কুয়ালালাপুরের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বিষয়গুলো তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আশা করছি, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দ্রুত খুলবে। আবার বাজার খুললে, যারা যেতে পারেনি তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’

এনএ/