ট্রেনের ৫০০ টিকিটসহ ১২ কালোবাজারি আটক
প্রকাশ: ১৪ জুন, ২০২৪, ০৪:০৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ট্রেনের ৫০০ টিকিটসহ ১২ কালোবাজারিকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে এসব টিকিট কেটেছে তারা। যা পরবর্তী সময়ে চড়া দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে থাকে তারা। আটকদের মধ্যে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের বেসরকারি ট্রেনের বিক্রয় প্রতিনিধিও রয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।

ফিরোজ কবীর বলেন, সোহেল ও আরিফুল নামে দুটি চক্র ঠাকুরগাঁও ও ঢাকা থেকে কালোবাজারি পরিচালনা করতো। আমরা গত রাতে অভিযান শুরু করি। এটি চলমান অভিযান ছিল। এটা দুই থেকে তিন ধাপে পরিচালনা করা হয়। ঢাকার কমলাপুর ও আশপাশের এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে চক্র দুই ধরনের। এক ধরনের চক্র অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হলে তা ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে কেটে রাখতো। পরে ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে চড়া দামে বিক্রি করে। সফট কপি পাঠিয়ে বিকাশ, বা নগদে টাকা বুঝে নেয়। 

এমন চক্রের দুইজনকে মৌচাক মোড়ের আশপাশের এলাকা থেকে আটক করি। এদের একজনের নাম মানিক ও আরেকজন বকুল। তাদের সাঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, মানিক মূলত সোহেল নামে একজন ও ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থানকারী আবু, রায়হান ও আনিস নামে আরও একজনের সঙ্গে কালোবাজারি ব্যবসায় আসে। তাদের থেকে আগামী ১০ দিনের টিকিট পাওয়া যায়। এগুলোর হার্ডকপি ও সফট কপি রয়েছে। এরমধ্যে দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেসের টিকিট ৩ হাজার টাকা করে বিক্রি করছে।

ফিরোজ কবীর বলেন, মানিক ও বকুলের মাধ্যমে আনিস ও রায়হানকে আটক করা হয়। রায়হান একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে। সেখানে ভুয়া সিম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অনেকগুলো টিকিট একসঙ্গে কেটে নেওয়ার দায়িত্ব সে পালন করে। এদের বড় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। সেখানে চাহিদা ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আর ঢাকাতে যারা অবস্থান করছে তারাও একই কাজ করে আসছিল।

রায়হান ও আনিস টিকিট পাঠাতো সোহেল ও মানিকের কাছে। আর মানিক ও বকুল ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতো। আমরা যে টিকিট পেয়েছি এখানে সেগুলো আগামী ১০ দিনের অরজিনাল টিকিট। 

তিনি বলেন, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেসরকারি ট্রেনের বুকিং সহকারী করেন আরিফুল ইসলাম। তিনিও একটি চক্র চালান। বেসরকারি ট্রেনের বুকিং সহকারী হলেও তার থেকে সরকারি ট্রেনের টিকিট পাওয়া গেছে। তিনি অনেকদিন ধরেই এগুলো করে আসছিলেন।

টিএইচএ/