আল্লাহর শুকরিয়ায় নেয়ামত বাড়ে
প্রকাশ:
০৯ জুন, ২০২৪, ০৫:৫৫ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
|| নাজমুল হুদা মজনু || দয়ালু আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতের বিন্দুমাত্র শুকরিয়াও আদায় সম্ভব নয় সমুদ্র সমান কালি-কলমের মাধ্যমে। তারপরও সম্ভবপর সব চেষ্টা-প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা মুমিনের কর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা অমুখাপেক্ষী আর আমরা তাঁরই দয়ার মুখাপেক্ষী। আমাদের জীবন-মরণ, দুনিয়া-আখেরাত তাঁরই দয়ায় আবর্তিত। আমাদের স্বার্থেই আমরা আল্লাহ তায়ালাকে ডাকি। মহান প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা মানুষের দীনতা-হীনতা প্রকাশ করাকে পছন্দ করেন ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ বান্দাদের ভালোবাসেন এবং শোকরকারীদের নিয়ামত বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজিদে বলেছেন, আল্লাহ জাল্লা শানহু কখনো জুলুম করেন না। আমরা নিজেরাই আমাদের ওপর জুলুম করি। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রাহমাতুল্লিল আলামিন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও বিশ্ব মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ রাহবার-পথপ্রদর্শক হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে আল্লাহ তায়ালার দাস মনে করে ইবাদতে মশগুল হতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত— তিনি বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে এত দীর্ঘ সালাত আদায় করতেন যে, তার দুই পা ফুলে যেত। একদিন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তো আপনার আগের ও পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তবু আপনি কেন এত কষ্ট করছেন? তিনি বললেন, এত নিয়ামতের পরও আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হতে আগ্রহী হবো না? (বুখারি) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনাদর্শ আমাদের চলার পথে পরম পাথেয়। তার প্রদর্শিত সিরাতুল মুস্তাকিম-সরল পথে চলার সময় ইবলিস শয়তান সবসময় ধোঁকা দিতে থাকে। তাই আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করে এর সাথে ফাইট করতে হবে। মুমিনের শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার হলো আল্লাহ তায়ালার জিকির। আল্লাহর স্মরণে শয়তান পালায়। তাই শয়তানকে কোনোরকম সুযোগ ও ছাড় দেয়া যাবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআন মাজিদে বলেছেন, আল্লাহর হাবিব মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনাদর্শ অনুকরণ-অনুসরণে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার বিকল্প নেই। দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তির সেই সওগাত দেয়া হয়েছে কুরআন মাজিদে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বান্দার কতটা কাছে তা তিনি কুরআনুল কারিমের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহর নৈকট্য লাভ করাই মুমিনের জীবনের মুক্তির মূল সোপান। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আর (হে রাসূল) আমার বান্দা যখন তোমার কাছে আমার কথা জিজ্ঞেস করে তখন (তাদেরকে তুমি বলে দাও) অবশ্যই আমি তাদের অতি কাছে; তারা যখন আমাকে ডাকে তখনই আমি তাদের ডাকে সাড়া দিই। অতএব তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয়, আমার ওপর যেন দৃঢ় ঈমান (পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা) রাখে, তাহলেই আশা করা যায় তারা সঠিক পথ পেয়ে যাবে। (সূরা বাকারাহ-১৮৬) লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক এনএ/ |