মোদির শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন যারা
প্রকাশ:
০৯ জুন, ২০২৪, ১২:০৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে হতে চলেছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকাল শনিবার দিল্লি পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ছাড়া প্রতিবেশী দেশ ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আরও ছয় দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন। সিসিলিসের উপরাষ্ট্রপতি আহমেদ আফিফও গতকাল দিল্লি এসেছেন। আজ দুপুরের মধ্যে একে একে উপস্থিত হবেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জগন্নাথ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবে, শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণে বিদেশি অতিথিরা নৈশভোজের আসরে যোগ দেবেন। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলো বলছে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ–বিদেশের প্রায় ৮ হাজার বিশিষ্টজনকে। ফল প্রকাশের আগে ভাবা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের হ্যাটট্রিক উদ্যাপন করা হবে জনতার দরবারে। সে কারণে তারই আমলে নতুনভাবে তৈরি কর্তব্য পথে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান করার প্রস্তাবও বিবেচিত হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি বরাবর ছুঁতে আগ্রহী ছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড। নেহরু ১৯৫২, ১৯৫৭ ও ১৯৬২ সালের নির্বাচনে জিতে তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। নেহরুর নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিটি জয়ই ছিল নিরঙ্কুশ। কারও সহায়তা ছাড়াই তিনি সরকার গড়েছিলেন। মোদি সেখানে ব্যর্থ। হ্যাটট্রিকের বছরে তাকে জোট শরিকদের সাহায্য নিতে হচ্ছে সরকার গঠনের জন্য। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের কাছাকাছি বিশাল তল্লাটকে ‘নো ফ্লাই জোন’–এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিমান তো দূরের কথা, ফানুস বা ড্রোনও ওই এলাকায় ওড়ানো বা চালানো যাবে না। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায়। তখনই বোঝা যাবে প্রথম দফায় মোট কতজন পূর্ণ মন্ত্রী ও কতজন প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন এবং কোন দলের কতজন মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন। শপথ গ্রহণের পর নতুন মন্ত্রীদের কে কোন দপ্তর পাচ্ছেন, তা সরকারিভাবে জানানো হয়। গত শুক্রবার থেকেই শরিক নেতারা তাদের চাহিদার বিষয়টি বিজেপির শীর্ষ নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন। |