জিলহজ মাসে চুল-নখ না কাটা নিয়ে ইসলাম কী বলে?
প্রকাশ:
০৭ জুন, ২০২৪, ১২:২০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার আগে প্রয়োজনীয় ক্ষৌরকর্ম করা, অর্থাৎ নখ কাটা, গোঁফ ছাঁটা, চুল কাটা ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করা সুন্নত। জিলহজের চাঁদ ওঠার পর থেকে ১০ তারিখে কোরবানির পশু জবাইয়ের পূর্ব পর্যন্ত কোনো প্রকার ক্ষৌরকর্ম না করা এবং পশু জবাইয়ের পর ঐ দিনের মধ্যে ক্ষৌরকর্ম করা (অন্তত নখ কাটা) সুন্নত। বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কোরবানি করবে, তারা যেন (এই ১০ দিন) চুল ও নখ না কাটে’। (মুসলিম: ৫২৩৩, ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা: ২২৭) জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন চুল, নখ, দাড়ি কাটা যাবে না। যারা কোরবানি দেবেন তাদের জন্য এই বক্তব্যটি এসেছে। তিনি কোরবানির নিয়ত করার পর থেকে তার হাতের নখ, চুল-দাড়ি এসব কাটতে পারবেন না। তিনি কোরবানি করার পর কাটবেন। এটা যিনি হজ করতে গেছেন তাদের সঙ্গে মিল রেখে একটি আমল। এটিকে অনেকে বলেছেন ওয়াজিব। অনেকে সুন্নতও বলেছেন। তবে, যেটাই হোক, এটা করতে হবে। যেহেতু সওয়াবের কাজ। তবে, অবশ্যই এটি শুধু কোরবানিদাতাদের জন্য। সবার জন্য এই নিয়ম নয়। নখ ও চুল কখন কাটবেন? কোরবানিদাতা নিজের কোরবানি সম্পন্ন হওয়ার পর চুল-নখ ইত্যাদি কাটবেন। কেননা হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম বলেন, যার কোরবানির পশু রয়েছে, সে যেন জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানি করার পূর্ব পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে। (আবু দাউদ: ২৭৯১) এনএ/ |