ঈদের নামাজের আগেই কুরবানি দেওয়া যাবে?
প্রকাশ:
০৬ জুন, ২০২৪, ০৬:৪৪ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
কুরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কুরবানির উদ্দেশ্যে পশু জবাইয়ের সময় হলো- জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত। কুরবানি করতে হবে ঈদুল আজহার নামাজের পরে। কেউ ঈদের আগে কুরবানি করলে তার কুরবানি শুদ্ধ হবে না। কেননা, নবীজি ঈদের নামাজের পরে কুরবানি করতে বলেছেন। বারা ইবনে আজিব রা. বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল সা. আমাদের উদ্দেশে খুতবা দিলেন। তাতে বললেন, আমাদের এই দিবসে প্রথম কাজ নামাজ আদায় করা, এরপর কুরবানি করা। সুতরাং যে এভাবে করবে তার কাজ আমাদের তরিকামতো হবে। আর যে আগেই জবেহ করেছে, তা পরিবারের জন্য প্রস্তুতকৃত গোশত, কুরবানি নয়। (সহিহ বুখারি: ৯৬৮; সহিহ মুসলিম: ১৯৬১; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৯০৭) বৃষ্টিবাদল বা অন্যকোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামাজ না হয়, তাহলে ঈদের নামাজের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেই কোরবানি করা জায়েজ’। (সহি বুখারি: ২/৮৩২, কাজিখান: ৩/৩৪৪, আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৩১৮) ‘১০, ১১ ও ১২ জিলহজ—এই তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন কুরবানি করা অধিক উত্তম। এরপর দ্বিতীয় দিন, তারপর তৃতীয় দিন।’ (রদ্দুল মুহতার: ৬/৩১৬) সুতরাং ১০ ও ১১ তারিখ রাতে কুরবানি করতে নিষেধ নেই। তবে আলোস্বল্পতার কারণে জবাইয়ে ত্রুটি হতে পারে বিধায় রাতে জবাই করা অনুত্তম। অবশ্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকলে রাতে জবাই করতে কোনো অসুবিধা নেই। (তথ্যসূত্র: ফতোয়ায়ে খানিয়া: ৩/৩৪৫, আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৩২০, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/২৯৬, আহসানুল ফতোয়া: ৭/৫১০) এনএ/ |