গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে পাকিস্তানের করাচিতে ব্যাপক বিক্ষোভ
প্রকাশ:
০৩ জুন, ২০২৪, ০৩:৫৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় আট মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। এমন অবস্থায় পাকিস্তানে বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। করাচিতে অনুষ্ঠিত হয় এই বিক্ষোভ। - আনাদোলু এজেন্সি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে রোববার পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচিতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করেছেন। দেশটির মূলধারার ধর্মীয় রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর (জেআই) আয়োজিত এই বিক্ষোভে হাজার হাজার নারী ও শিশুরাও অংশ নিয়েছিল। মূলত ‘অল আইজ অন রাফাহ’ নামের বৈশ্বিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। আনাদোলু বলছে, পাকিস্তানে বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। আর এই তাপপ্রবাহের মধ্যেই ফিলিস্তিনি পতাকা ও ব্যানার নিয়ে এবং ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে বিক্ষোভকারীরা বিকেল ৪টায় করাচির শাহরাহ-ই-ফয়সাল রোডে জড়ো হতে শুরু করেন। প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা অনেকেই ফিলিস্তিনি স্কার্ফ ‘কেফিয়েহ’ পরেছিলেন। এছাড়া সেখানে রাস্তার উপরে থাকা একটি ব্রিজে প্রদর্শিত প্রধান ব্যানারে ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’ লেখা ছিল, অন্যটিতে লেখা ছিল ‘লাব্বাইক ইয়া আকসা’ (আকসা, আমরা এখানে) এবং ‘হামাসের প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রতি স্যালুট’। এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে যারা মারা গেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ৩০ মিটার লম্বা (প্রায় ১০০ ফুট) ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করেন একদল তরুণ বিক্ষোভকারী। সমাবেশে বিপুল সংখ্যক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীও অংশ নেন। আনাদোলু বলছে, গত প্রায় আট মাস ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। আগ্রাসন শুরুর পর চলতি বছর পাকিস্তানের এই বাণিজ্যিক রাজধানীতে এ নিয়ে তৃতীয় বড় ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলো। এছাড়া ইসরায়েলের আক্রমণের পরে পাকিস্তানে অন্যান্য অঞ্চলেও ব্যাপক প্রতিবাদ-সমাবেশ দেখা গেছে। পাকিস্তান জামায়াতের নব-নির্বাচিত প্রধান হাফিজ নাঈম-উর-রেহমান তার ভাষণে বলেন, ‘ইসরায়েল মানবতাকে অপমান করছে। তার বাহিনী যেভাবে বোমাবর্ষণ করছে এমনকি সেইসব এলাকাতেও বোমাবর্ষণ করছে, যেগুলো নিজেরাই তথাকথিত নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছিল।’ তিনি ইসরায়েলের কাছে ‘সব ধরনের প্রাণঘাতী অস্ত্র’ সরবরাহ করে তেল আবিবকে রাফা আক্রমণ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘একদিকে, ওয়াশিংটন দাবি করছে- তারা যুদ্ধবিরতি চায় এবং অন্যদিকে, ইসরায়েলকে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র মারাত্মক অস্ত্র সরবরাহ করেই চলেছে। না/ |