কওমি উদ্যোক্তার ৫ম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
প্রকাশ:
০২ জুন, ২০২৪, ০৯:৪৬ রাত
নিউজ ডেস্ক |
হাজারো আলেম ও বেকারদের ব্যবসার পথ দেখিয়ে সাড়া জাগানো প্রতিষ্ঠান "কওমি উদ্যোক্তার" পঞ্চম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২ জুন) রাজধানীর কাকরাইল ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে সারাদেশ থেকে আসা পাঁচ শতাধিক ছোট-বড় উদ্যোক্তাদের নিয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কওমি উদ্যোক্তার ফাউন্ডার মাওলানা রোকন রাইয়ানের সভাপতিত্বে ও লোকমান গাজীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমাদুল্লাহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন আইনজীবী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপি, বিশিষ্ট আলোচক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ, বাংলাদেশ আই হস্পিটাল মালিবাগের ডিরেক্টর ডা. মাসুদ হাশমী, বিশিষ্ট আলোচক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা সাইমুম সাদী, বিজনেস মেন্টর কোচ কাঞ্চন, কন্টেন্ট কিংয়ের ফাউন্ডার মুহাম্মাদ ইকরাম, লেখক-সাংবাদিক ও উদ্যোক্তা মাওলানা মিরাজ রহমান, উইট ইনিস্টিউটের ফাউন্ডার নাজিব রাফে, আলেম উদ্যোক্তা ও স্পিকার গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, আওয়ার ইসলাম২৪ ডটকম সম্পাদক মুফতি হুমায়ূন আইয়ূব, কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, ইয়েস২০ স্কুলের প্রেসিডেন্ট মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, স্টেডফাস্ট কুরিয়ার লিমিটেডের ফাউন্ডার কে এম রিদওয়ানুল বারী জিওনসহ আরো উপস্থিত ছিলেন ছোট-বড় পাঁচ শতাধিক উদ্যোক্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শায়েখ আহমাদুল্লাহ বলেন, ঈদ মুসলমানদের একটি ইবাদাত। অথচ এই দুই ঈদে মুসলমানদের চিহ্নিত শত্রুরা এ দেশে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে যাচ্ছে। ঈদেও তারা সমকামীর পাঞ্জাবি বিক্রি করছে। আমাদের টাকায় বিষ কিনে আমাদেরকেই খাওয়াচ্ছে। আর আমরা কালোজিরা-মধু বিক্রি করছি। তিনি আলেম উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনি যদি একেবারে কম টাকা বিনিয়োগে ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে শুরুতে এসব ছোটখাটো পণ্য বিক্রিতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু ভবিষ্যতে প্রায় সব ধরনের পণ্য বিক্রিতে আলেমদের বিচরণ থাকতে হবে। এ সময় শায়েখ আহমাদুল্লাহ কওমি উদ্যোক্তার ভূয়সী প্রশংসা করে নিজেও আগামী এক–দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যবসা শুরুর কথা জানান। সম্মেলনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন এমপি বলেন, আমি এত এত আলেম উদ্যোক্তা দেখে গর্ববোধ করছি। আপনারা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যান। দেশকে শক্তিশালী করতে পারে তরুণ উদ্যোক্তারা। কারণ তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি আছে। তাই কেউ বসে থাকবেন না। সাহস নিয়ে নতুন কিছু শুরু করেন। সাকসেস আসবেই। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় মসজিদ-মাদরাসা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন যখন স্থবির হয়ে যায় তখন মাওলানা রোকন রাইয়ানসহ কয়েকজন তরুণ আলেমের হাত ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে "কওমি উদ্যোক্তা" নামে একটি গ্রুপ খোলার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের সূচনা হয়। ২ বছরের ব্যবধানে এ গ্রুপে প্রায় ২ লাখ সদস্য যুক্ত হোন। পর্যায়ক্রমে তারা বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আলেম উদ্যোক্তা তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রাখেন। হাজারো আলেম উলামা ও বেকার মানুষ "কওমি উদ্যোক্তা"র মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। হাআমা/ |