শ্রমিক‌দের উন্নয়‌নে বাংলা‌দে‌শের সঙ্গে কাজ কর‌তে আগ্রহী সৌ‌দি আরব
প্রকাশ: ২৯ মে, ২০২৪, ১০:২২ রাত
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও জবাবদিহিতা এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সৌদি সরকারের সাম্প্রতিক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ঢাকার স‌ঙ্গে এক‌যো‌গে কাজ কর‌তে চায় রিয়াদ।

বুধবার (২৯ মে) সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী উপমন্ত্রী ফয়সাল আল দাফায়ান তার কার্যালয়ে রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ওয়ার্কশপে আলোচনায় এ কথা জানান।

সহকারী উপমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সৌদিতে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যাই সর্বোচ্চ। তারা কঠোর পরিশ্রম ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণেই সৌদি শ্রম বাজারে তাদের চাহিদা বাড়ছে।

সহকারী উপমন্ত্রী বলেন, ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সৌদি আরব যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছে তাতে বাংলাদেশের বিশাল এই জনশক্তি সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। 

তিনি বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের তাদের গৃহীত বিভিন্ন সেবার ডিজিটালাইজড সিস্টেমের সঙ্গে পরিচিত করতে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন। 

ওয়ার্কশপে বিভিন্ন সেবার ডিজিটালাইজড সিস্টেমে কী কী সুবিধা সুবিধা রয়েছে এবং তা থেকে প্রবাসী কর্মীরা কীভাবে সেসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে উপকৃত হতে পারেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

সভায় সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও তাদের দেখভালের জন্য মিশন উপপ্রধান সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, কাজ ও ইকামার নিশ্চয়তাসহ ভিসা ইস্যুকরণ, চুক্তি শেষে নারী কর্মীদের ফেরত প্রেরণ, ইকামার মেয়াদ শেষ হওয়া কর্মীদের দ্রুত দেশে প্রত্যাবর্তন এবং  মুসানিদ সিস্টেমে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির অভিযোগ নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সৌদির  সহযোগিতা কামনা করেন।  

ওয়ার্কশপে সৌদি সৌদির মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে সহকারী উপমন্ত্রী আরও জানান, সৌদি শ্রম বাজারে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য সৌদি সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শ্রমিকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি ১ হাজার ২০০ শ্রম পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যারা ২০২৩ সালে প্রায় ১০ লাখ অভিযোগের সমাধান করেন। 

তিনি আরও বলেন, সৌদি সরকার সৌদি আরবকে একটি আধুনিক শ্রম বান্ধব দেশে উন্নীত করতে শ্রমিকদের নিয়োগসহ পুরো প্রক্রিয়াকে অটোমেশন করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  

ওয়ার্কশপে দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সিলর (শ্রম) মুহাম্মদ রেজায়ে রাব্বী, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, প্রথম সচিব (শ্রম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন।

হাআমা/