যেখানে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’
প্রকাশ: ২৬ মে, ২০২৪, ১১:৪২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবের দেশের সব বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

কোথায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’?

যেভাবে ঘূর্ণিঝড়টি এগিয়ে আসছে, তাতে রবিবার বিকালের দিকে বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের সমুদ্র তীরবর্তী এবং আশেপাশের অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করতে পারে রেমাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের ওপর থাকা গভীর নিম্নচাপটি শনিবার রাতে শক্তি বৃদ্ধি করে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। ক্রমে এটি আরও শক্তি বৃদ্ধি করতে চলেছে এবং রবিবার সকালে পরিণত হবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। এরপর রবিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝে স্থলভাগে।

এ সময় উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। চলতি প্রাক-বর্ষা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে এটিই প্রথম ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে।

সূত্র: বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস, এনডিটিভি

এনএ/