বাংলাদেশের সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক
প্রকাশ:
০৮ মে, ২০২৪, ০৯:৪৬ রাত
নিউজ ডেস্ক |
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়িয়ে দ্রুত দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চায় তুরস্ক। বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয়ে মেয়র মো: রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন একথা বলেন। সাক্ষাৎকালে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। নগরের যোগাযোগ অবকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এছাড়া নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনেও নেয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে। তুরস্ক এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে। জবাবে রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। গত অর্ধশতাব্দীতে বাংলাদেশের সুখ-দুঃখে সবসময় তুরস্ক পাশে ছিল। তবে তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না। এজন্য তুরস্কের লক্ষ্য সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে আমদানি থেকে রফতানি বেশি করে অর্থাৎ এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। ‘বর্তমানে তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল খাত কেন্দ্রিক। তুরস্ক বাংলাদেশে টেক্সটাইল খাতের বিভিন্ন যন্ত্র ও কেমিক্যাল রফতানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক তৈরি পোশাক আমদানি করে। তুরস্ক কেবল টেক্সটাইল খাতে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ করতে চায়। সামরিক খাতেও তুরস্ক এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক নিজেদের তৈরি ৫ম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার যুদ্ধবিমান কান উড্ডয়ন করেছে, যা তুরস্কের গভীর সামরিক শক্তির পরিচায়ক। এছাড়া ড্রোন নির্মাণ এবং বিভিন্ন সামরিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্ক তার অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশের সাথে আদান-প্রদান করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের রিয়ার অ্যাডমিরাল মুস্তফা কায়া, কর্নেল এরদাল শাহিন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশে তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাশেম খান। সূত্র : বাসস এনএ/
|