লবণ উৎপাদন আগের সব রেকর্ড পেছনে ফেলে ২২ লাখ টন ছাড়িয়েছে
প্রকাশ: ০১ মে, ২০২৪, ০৪:৪৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

মওসুম শেষ হওয়ার আগেই চলতি বছর লবণ উৎপাদন আগের সব রেকর্ড পেছনে ফেলে ২২ লাখ টন ছাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার পর্যন্ত দেশে লবণ উৎপাদনের মূল এলাকা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর নির্ধারিত অঞ্চলে ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। আগের বছরও লবণ উৎপাদন অতীতের সব হিসাব ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

লবণের এবারের উৎপাদন দেশের বার্ষিক চাহিদা পূরণ করবে বলে মনে করছেন বিসিকের লবণ সেলের প্রধান সারওয়ার হোসেন। এতে করে এবার লবণ আমদানির প্রয়োজন হবে না বলে আশা করছেন তিনি।

প্রতিবছর নভেম্বর থেকে শুরু করে মে মাসের মাঝামঝি পর্যন্ত লবণ সংগ্রহের মওসুম ধরা হয়। সে হিসাবে চাষিরা আরও কিছুদিন লবণ সংগ্রহ করতে পারবেন। মওসুম শেষে উৎপাদনের রেকর্ড আরও বাড়বে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরেও লবণ উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছিল। ওই মৌসুমে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে লবণ উৎপাদন হয়েছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। চলতি মওসুমে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে চাষাবাদের পর ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন।

বিসিক বলছে, চলতি মওসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ৬৯৫ জন। গত অর্থবছরে চাষ করেছিলেন ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি অপরশোধিত লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা।

বিসিকের মাধ্যমে ১৯৬১ সাল থেকে দেশে পরিকল্পিতভাবে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজারের সব উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ, ঋণ দান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

বিসিকের লবণ সেলের প্রধান সারওয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেশে ২৫ লাখ ২৮ হাজার টন লবণের বার্ষিক চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিনই প্রায় ৩৮ হাজার টন লবণ উৎপাদন হচ্ছে। এভাবে উৎপাদন হতে থাকলে চাহিদা ও লক্ষ্যমাত্রা দুটোই পূরণ হবে। 

“রেকর্ড উৎপাদনের ফলে ইতোমধ্যেই কাঁচা লবণের দাম কমতে শুরু করেছে। চামড়া ও শিল্প কারখানায় যে ধরনের লবণ ব্যবহার হয় সেটার কেজি ১৭ থেকে কমে ১৫ টাকায় নেমেছে। আর আয়োডিনযুক্ত লবণের দাম এখন ৪২ টাকায় নির্ধারিত আছে। আমরা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে এই দাম কমিয়ে দেব।

হাআমা/