জাকাতের হকদার যারা
প্রকাশ:
০২ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:৩৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
সম্পদশালী বান্দার অন্যতম আর্থিক ফরজ ইবাদত হলো জাকাত আদায় করা। জাকাত নিজের খেয়াল-খুশি মতো পরিমাণ ও স্থানে দেয়া যাবে না। এর জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ এবং সুনির্ধারিত খাত। যে ব্যক্তির কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক বছর থাকবে, তাকে সে সম্পদের শতকরা আড়াই ভাগ জাকাত আদায় করতে হবে। জাকাতের নিসাব হলো সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রূপা কিংবা এর সমপরিমাণ অর্থের মালিক হওয়া। এটি মহান আল্লাহর বিধান। আল্লাহর বিধান মোতাবেক জাকাত আদায়কারীর জন্য রয়েছে অনেক উপকারিতা। জাকাতের খাত বর্ণনা করে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন- 'জাকাত হল কেবল ফকির, মিসকিন, জাকাত আদায় কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন (নতুন মুসলিম) তাদের হক এবং তা দাস মুক্তির জন্যে, ঋণ গ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্য এবং মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।' (সুরা তাওবা : আয়াত ৬০) এ আয়াতে জাকাতের আটটি খাত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নিম্নে এ খাতগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো : নিঃস্ব ফকির- আল্লামা তাবারি রহমাতুল্লাহি আলাইহি ফকিরের সংজ্ঞায় বলেন, ওই অভাবগ্রস্ত যে নিজেকে সর্বপ্রকার লাঞ্ছনা থেকে রক্ষা করে চলেছে, কারোর কাছেই কিছুর প্রার্থনা করে না। অভাবগ্রস্ত মিসকিন- জাকাত উঠানোর কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি- যারা জাকাত আদায়কারী, সংরক্ষণকারী, পাহারাদার, লেখক, হিসাবরক্ষক এবং তার বণ্টনকারী এদের সবাইকে জাকাতের ফান্ড থেকে বেতন দিতে হবে। তবে- যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা প্রয়োজন- দাসমুক্তির জন্য- ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি- আল্লাহর পথে- আল্লাহর পথ বলতে আকিদা, বিশ্বাস ও কাজের দিক দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি পর্যন্ত পৌঁছে দেয় যে পথ, ফি সাবিলিল্লাহর অর্থ এমন কার্যক্রমকে বোঝায় যা খালিস নিয়তে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে, তা ফরজ, নফল ও বিভিন্ন ধরনের ইবাদত-বন্দেগিকে বোঝায়। জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহ. বলেন, ফি সাবিলিল্লাহর অর্থ যারা জিহাদের ইসলাম প্রচার-প্রসারের কাজে নিয়োজিত আছেন। মুসাফিরদের জন্য- সম্পদশালী ব্যক্তির উচিত, গরিব অসহায়দের জন্য আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত জাকাত আদায় করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। এনএ/ |