যেসব কারণে রোজার কাজা করতে হয়
প্রকাশ: ২৮ মার্চ, ২০২৪, ০৮:৩০ রাত
নিউজ ডেস্ক

রোজা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। তাই রোজা রাখার পর সতর্ক থাকতে হয় যেন এমন কিছু না হয়, যেটার কারণে রোজা ভেঙে যায়। কোনও সমস্যাজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে আল্লাহ তায়ালা পরে কোনো এক সময় রোজা পূর্ণ করার বিধান দিয়েছেন।

পবিত্র কুরআনে তিনি বলেন, ‘...অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে, অথবা সফরে থাকবে, সে অন্য সময়ে এসে রোজা পূরণ করে নেবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৪) 

যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায় প্রতিবিধানের বিচারে তা দুই প্রকার।

এক. যার কারণে রোজা ভেঙে যায় এবং তার প্রতিবিধান হিসেবে কাজা ও কাফফারা (ক্ষতিপূরণ) উভয়টি আদায় করতে হয়। তা হলো স্ত্রী-সম্ভোগ ও ইচ্ছাকৃত পানাহার।

কেউ যদি ইচ্ছা করে রমজান মাসের দিনের বেলা স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে অথবা পানাহার করে তবে তার রোজা ভেঙে যাবে। তার প্রতিবিধান হিসেবে ব্যক্তিকে রোজার কাজা ও কাফফারা করতে হবে।

উল্লেখ্য, ওষুধ ও ধূমপান পানাহারের অন্তর্ভুক্ত এবং স্বেচ্ছায় যেকোনো প্রকার বীর্যপাত স্ত্রী-সঙ্গমের অন্তর্ভুক্ত। কোনো স্বামী যদি স্ত্রীকে সহবাসে বাধ্য করে তবে স্ত্রী শুধু রোজা কাজা করবে এবং স্বামীর কাজা-কাফফারা দুটোই করবে।

দুই. যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হলে প্রতিবিধান হিসেবে শুধু কাজা করতে হয়, কাফফারা দিতে হয় না। এমন কিছু কারণ হলো—

১. ইচ্ছা করে বমি করা,

২. বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা,

৩. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসবের পর ঋতুস্রাব,

৪. ইসলাম ত্যাগ করলে,

৫. গ্লুকোজ বা শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা সেলাইন দিলে,

৬. কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে,

৭. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে,

৮. রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে,

৯. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবেহ সাদিকের পর পানাহার করলে,

১০. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে,

১১. মুখ ভরে বমি করলে,

১২. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরো কিছু খেলে,

১৩. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে,

১৪. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে,

১৫. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে,

১৬. অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে,

১৭. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)

এনএ/