গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা ‘অত্যধিক বেশি’: যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশ:
২৭ মার্চ, ২০২৪, ১২:২২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
ফিলিস্তিনের গাজায় টানা সাড়ে পাঁচ মাস ধরে আকাশ ও স্থলপথে হামলা করে চলেছে ইসরায়েল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর সংখ্যা ‘অত্যধিক বেশি’ বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরার সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করার একদিন পরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা ‘অনেক বেশি’। একই সঙ্গে গাজায় পৌঁছানো মানবিক সহায়তার পরিমাণও ‘খুব কম’। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের এ প্রধান বলেন, ‘গাজা মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে এবং পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। দুর্ভিক্ষ এড়ানোর জন্য আমাদের অবিলম্বে সহায়তা বৃদ্ধির প্রয়োজন এবং অস্থায়ী সমুদ্র বন্দর গড়ার পরিকল্পনা সমুদ্রপথে মানবিক করিডোর খোলার কাজকে সাহায্য করবে। কিন্তু মূল বিষয় হলো- স্থলপথে সাহায্য বিতরণ আরো প্রসারিত করা।’ আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েল গাজায় অতীব জরুরি মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ড ‘দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির’ সম্মুখীন হচ্ছে বলেও জাতিসংঘসহ অনেকেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। এদিকে মার্কিন এবং ইসরায়েলি মিডিয়া আউটলেটগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলকে আরো দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের অনুরোধ করতে ওয়াশিংটন সফরে গেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ইসরায়েলের এ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, অস্টিনের সঙ্গে বৈঠকে ‘ইসরায়েলের সামরিক শক্তি এবং সক্ষমতা নিশ্চিত করতে’ মার্কিন-ইসরায়েল সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করেছেন। অবশ্য গাজায় ইসরায়েলের নীতির বর্ধিত সমালোচনা সত্ত্বেও মার্কিন কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, তারা ইসরায়েলকে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করতে থাকবে। গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তারা ইসরায়েলের কাছ থেকে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ আশ্বাস পেয়েছে যে, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না। বিনু/ |