‘কোরআন শিক্ষার আসর করলে যাদের গায়ে জ্বালা ধরে এরা মুসলমান নামের পশু’
প্রকাশ: ১৭ মার্চ, ২০২৪, ০৩:৫১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মাহে রমজানের শিক্ষা নিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে হবে। রমজান মাস কুরআন নাজিলের মাস। কুরআন নাজিলের কারণেই এ মাসের এত মাহাত্ব। মানব জীবনের সফলতা ফিরে পেতে হলে তাকওয়াপূর্ণ সমাজ গঠন করতে হবে। আল্লাহভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হবে। মাহে রমাজন সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানব জাতিকে আল্লাহর রঙে রঙ্গিন হয়ে মানব কল্যাণে ব্রত হওয়ার শিক্ষা দেয়। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এ মহান মাস পাওয়ার পরও নিজের গুনাহরাশী মাফ করিয়ে আল্লাহর নিকটবর্তী বান্দা হতে পারেনি, রমজান তার জীবনে কোন প্রভাব ফেলবে না।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআন নাজিলের মাসে কোরআন শিক্ষার আসর করলে যাদের গায়ে জ্বালা ধরে এরা মুসলমান নামের পশু। ঢাবিতে আরবী বিভাগ আছে, সেখানে আরবী চর্চা হলে সমস্যা কোথায়? মুসলমানের দানকৃত জায়গায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেলিন, কালমার্কসসহ অন্যান্য ধর্ম চর্চা হতে পারলে কোরআন চর্চায় অসুবিধা কোথায়? তিনি বলেন, ঢাবিতে কোরআনের ক্লাস নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে, তাদের থামান। অন্যথায় ধৈয্যের সীমা আছে, ইসলাম চর্চা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ঈমানদার জনতা নিরবে বসে থাকবে না।

আজ রোববার বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ৬ষ্ঠ দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়াও নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম ছাড়াও চরমোনাই দরবারের খলিফাগণ বয়ান করেন।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, রমজান এলেই একশ্রেণির মানুষ রজমানের প্রতি অসম্মান করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। এরা মানুষকে বিভিন্নভাবে কষ্ট য়ে, মজুদদারী করে কষ্ট দেয়, ইফতারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঈমানদার মানুষকে কষ্ট দেয়। ইফতারের আগে রোজাদার নিরীহ ছাত্রদের রক্তাক্ত করে কষ্ট দেয়। মনে রাখবেন এরা অচিরেই আল্লাহর গজবে পতিত হবে। তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য, যারা রোজাদার মানুষকে যেভাবেই হোক কষ্ট দেয়, তারা আল্লাহর আজাব-গজবের অপেক্ষায় আছে।

মুফতী রেজাউল করীম অত্যন্ত আফসোস করে বলেন, রমজান এমন এক মাস যে মাসে খাবারের কোন হিসেব নেই। অনেক মানুষ রমজান এলে মিতব্যয়ীতার ভান ধরে ইফতারের বরাদ্দ বাতিল করে, এরা ইসলাম ও মানবতার দুশমন। অথচ দেশের সম্পদ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে, বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, ব্যাংকে সোনা রাখলে রূপা হয়ে যায়। সেদিকে কারো কোন ভ্রক্ষেপ নেই।

হাআমা/