মুসল্লিদের লাথি মারার ঘটনায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মাহমুদ মাদানির চিঠি
প্রকাশ: ০৯ মার্চ, ২০২৪, ১২:৫০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

|| নুর আলম সিদ্দিকী ||

দিল্লিতে জুমার নামাজরত মুসল্লিদের এক পুলিশ কর্মকর্তার লাথি ও ধাক্কা মারার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ মাদানি।

তিনি বলেন, এই ধরনের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলবে। বৈশ্বিক পর্যায়ে দেশের পরিচয় গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এ ব্যাপারে মাওলানা মাদানি ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দিল্লির এলজিকে চিঠি দিয়ে ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে সকল দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।

মাওলানা মাদানি বলেন, পুলিশের মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে যে তিনি ইসলামোফোবিয়ায় ভুগছেন এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির চিন্তাভাবনা দ্বারা প্রভাবিত। তাই তাকে বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্কারের সাথে তার কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন।

মাওলানা মাদানি আরো বলেন, আমরা স্বীকার করি যে আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য পুলিশের দায়িত্ব পালন করা উচিত, তবে ধর্মীয় বিষয়ে সতর্কতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মাওলানা মাদানি তার চিঠিতে লিখেছেন, "আমি আপনাকে অবিলম্বে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে তাদের ধর্মীয় পটভূমি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করার জন্য অনুরোধ করছি।

"আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে নিজেদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে এবং সাম্প্রদায়িক ও দেশ ভাঙা শক্তির হাতিয়ার পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি আশা করি এই বিষয়ে আপনার দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, দিল্লির ইন্দ্রলোক এলাকায় রাস্তায় নামাজে সিজদারত মুসল্লিদের লাথি মেরে উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর একসঙ্গে কয়েকজনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। বসে থাকা আরেক মুসল্লির মুখে ধাক্কা দেওয়ার পর কয়েকজন মুসল্লি ক্ষিপ্ত হয়ে যান।

তখন তারা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গণধোলাই দেন। এরপর তিনি দৌড় দিলে অন্যরাও দৌড়ে তাকে তাড়া করেন।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান দিল্লি উত্তর পুলিশের উপকমিশনার এমকে মিনা।

সূত্র: দেওবন্দ টাইমস, মুম্বাই উর্দূ নিইজ. মুনসিফ ডেইলি, কওমি আওয়াজ, ইটিভি ভারত

এনএ/