শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তরুণ আলেমদের মতবিনিময়, পাঠ্যবই সংশোধনের আশ্বাস 
প্রকাশ: ০৬ মার্চ, ২০২৪, ০৯:২০ রাত
নিউজ ডেস্ক

কওমি মাদ্রাসা ও দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তরুণ আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল। বুধবার (৬ মার্চ) বিকালে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।প্রায় দুই ঘন্টা দীর্ঘ এ বৈঠকে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষানীতি, কওমি মাদ্রাসা, শিক্ষানীতি, স্বীকৃতি ও বৃহৎ এ জনগোষ্ঠীর শিক্ষাগত যোগ্যতার কার্যকারিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা- পর্যালোচনা করা হয়। 

এ সময় তরুণ আলেমদের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জাতীয় পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন বিষয়ে সংশোধনী সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র ও ৯টি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। 

বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী তরুণ আলেমদের পর্যালোচনা ও সুপারিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেন এবং পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন বিষয়ে সংশোধনীর ধারা চলমান রয়েছে বলে জানান।  এছাড়া কওমি সনদের স্বীকৃতি পূর্ণ বাস্তবায়নে আল হাইয়াতুল উলয়ার সঙ্গে কাজ করার কথাও জানান তিনি। 

কওমি মাদ্রাসার প্রতিনিধিত্বশীল তরুণ আলেমদের এ প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ইকরা বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, দ্বীনিয়াত বাংলাদেশের প্রধান মুফতি সালমান আহমাদ, বগুড়া মাদ্রাসাতুল মাদীনার প্রিন্সিপাল মুফতি মনোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ কওমি ছাত্র ফোরামের আহ্বায়ক মুফতি তানজিল আমির, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মাওলানা রবিউল হক, মাহাদুস সাকাফার প্রিন্সিপাল মাওলানা আশরাফ আলম কাসেমী নদবী, নিকুঞ্জ মাদ্রাসাতু উসমান বিন আফফানের নায়েবে মুহতামিম মুফতি আফফান বিন শরফুদ্দীন, জামেয়া কারীমিয়া আরাবিয়ার শিক্ষক মাওলানা আবু বকর, সাভার খাদিজাতুল কুবরা মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইমরুল শাহেদ, মুফতি আল আমীন।

তরুণ আলেমদের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে- 

১- শিক্ষানীতি গঠন ও বাস্তবায়ন কমিটিতে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সমাদৃত চিন্তক আলেমদের রাখা।

২- শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় না থাকা।

৩- মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামবান্ধব শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা ।

৪- দশম শ্রেণী পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।

৫- নূরানী মাদ্রাসাগুলোর সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত বোর্ডগুলো থেকে নিবন্ধনকে চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করা।

৬- ২০১২ সালে কওমি মাদ্রাসা স্বীকৃতির জন্য গঠিত কওমি কমিশনের প্রণীত শিক্ষা কারিকুলামের আলোকে কওমি স্বীকৃতি পূর্ণ বাস্তবায়ন করা।

৭- ছাত্র শিক্ষকের মধ্যকার শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক, আদর্শ মানুষ ও সমাজ গঠনে মাদ্রাসাসমূহের অবদানগুলোকে সর্বময় করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা। 

৮- কওমি শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া।

৯-  কওমি শিক্ষার্থীদের দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহির্বিশ্বে পড়ালেখার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।

হাআমা/